মসজিদ থেকে মাইক সরানোর দাবিতে উত্তাল মহারাষ্ট্র। এর মধ্যেই একটি রায় দিয়ে শোরগোল ফেলে দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। সাফ জানিয়ে দিল, মসজিদে মাইক বাজানো সংবিধানের মৌলিক অধিকার নয়। সেই সঙ্গে মসজিদে লাউডস্পিকার বসানোর দাবিতে করা একটি আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলার ধোরানপুর গ্রামের নুরি মসজিদে লাউডস্পিকার বসানোর অনুমতি চেয়েছিলেন ইরফান নামের এক ব্যক্তি। সে অনুমতি দেননি অতিরিক্ত জেলাশাসক। এর পরে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা রুজু করেন ইরফান। তিনি দাবি করেন, জেলাশাসকের ওই নির্দেশ সম্পূর্ণ বেআইনি এবং সংবিধানের পরিপন্থী।
তবে ইরফানের সেই আর্জি খারিজ হয়ে গেল এলাহাবাদ হাইকোর্টে, বিচারপতি বিবেক কুমার বিড়লা এবং বিচারপতি বিকাশের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালতে রায় দেওয়া হয়েছে, লাউডস্পিকার সংবিধানের মৌলিক অধিকার নয়। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কোথাওই লাউডস্পিকার ব্যবহার করা যাবে না। তবে অডিটোরিয়াম, কনফারেন্স হল, কমিউনিটি এবং ব্যাঙ্কোয়েট হলের মতো বদ্ধ জায়গায় শব্দআইন মেনে মাইক বাজানো যাবে।
সম্প্রতি মসজিদে লাউডস্পিকার লাগানো নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। মসজিদের লাউডস্পিকার বন্ধের দাবি করেছেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরে। মসজিদে লাউডস্পিকার বাজলে মসজিদের বাইরে পাল্টা হনুমান চালিশা চালানোর হুঙ্কারও দেন তিনি, সেই মতো নানা জায়গায় হনুমান চালিশা বাজানো শুরুও করেছেন তাঁর সমর্থকরা। এ নিয়ে ফের মামলাও দায়ের হয়েছে। কর্নাটকেও লাউডস্পিকার নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে। এর মধ্যেই এই রায় দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট।