নাগরিকতা কেড়ে নেওয়া হবে, সংবিধানের প্রতিলিপি ছিঁড়ে ফেলা দুই পিডিপি সাংসদের

জম্মু কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের তকমা দেওয়া ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার বিরোধীতা করে রাজ্যসভায় সংবিধান এর প্রতিলিপি ছিঁড়ে ফেলা PDP এর সাংসদ এমএম ফৈয়াজ আর নাজির আহমেদ এর উপর কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। তাঁদের তিন বছরের জন্য জেলে পাঠানো হতে পারে, এমনকি তাঁদের নাগরিকতাও কেড়ে নেওয়া হতে পারে। ইনসাল্ট টু ইন্ডিয়ান ন্যশানাল ফ্ল্যাগ এন্ড কনস্টিটিউশন অফ ইন্ডিয়া, ১৯৭১ অনুযায়ী, কোন সার্বজনীন যায়গায় রাষ্ট্রীয় ঝাণ্ডা অথবা সংবিধানকে জ্বালিয়ে দেওয়া, ছিঁড়ে ফেলা অথবা কোনরকম ভাবে অপমান করা বড় অপরাধ। এইরকম করা ব্যাক্তিকে তিন বছরের জেল হেফাজতে পাঠানোর বিধান আছে।

সংবিধানের আর্টিক্যাল ৫১ (এ) তেও এই কথা বলা আছে। ভারতীয় নাগরিকদের প্রাথমিক কর্তব্যের মধ্যে রাষ্ট্রীয় প্রতীক এর সন্মান করা অতি আবশ্যক।

মদ্দা কথা হল, আপনি যেকোন জিনিসের বিরোধিতা করার জন্য সংবিধান অথবা রাষ্ট্রীয় ধ্বজ এর অপমান করতে পারেন ন। এছাড়াও নাগরিকতা অধিনিয়ম, ১৯৫৫ অনুযায়ী, যদি কোন ভারতীয় নাগরিক ভারতীয় সংবিধানের অপমান করেন অথবা তাঁর চালচলনে এটা বোঝা যায় যে, সংবিধানের প্রতি তাঁর কোন নিষ্ঠা নেই, তাহলে তাঁর নাগরিকতা কেড়ে নেওয়া হতে পারে।

আপনাদের জানিয়ে রাখি, যখনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ৩৭০ ধারা আর জম্মু কাশ্মীরের পূর্ণগঠন এর সংকল্প পেশ করেন, তখনই বিরোধী দল গুলো সংসদে হাঙ্গামা শুরু করে দেয়। এরপর সংসদের সভাপতি হাঙ্গামা করা সাংসদদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন। আর সেই সময় পিডিপি সাংসদ মির ফৈয়াজ এবং নজির আহমেদ এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় সংবিধানের প্রতিলিপি ছিঁড়ে ফেলেন। এরপর রাজ্যসভার সভাপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু তাঁদের সদন থেকে বের করে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.