হাতেনাতে পাকড়াও এক পাক জঙ্গি। পুলিশ জানিয়েছে, শ্রীনগর থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ ওয়াকার নামের ওই জঙ্গিকে। গত এক বছর ধরে শ্রীনগরে ঘাঁটি গেড়েছিল সে। সেখান থেকেই নিজের সমস্ত কার্যকলাপ চালাত ওয়াকার।
সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায় নাশকতার ছক কষেছিল এই জঙ্গি। তবে মিশনে নামার আগেই তার সব প্ল্যান বানচাল করে দিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের জুলাই মাসে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরে এসেছিল ওয়াকা। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিক আবদুল কায়ুম জানিয়েছেন, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মিনাওয়ানি-র মিয়ানা মহল্লার বাসিন্দা এই মহম্মদ ওয়াকার।
পুলিশ জানিয়েছে, পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবার’র সদস্য এই ওয়াকার। তাকে নাকি বলা হয়েছিল যে কাশ্মীরে মুসলমানদের নমাজ পড়তে দেওয়া হবে না, ধ্বংস করে দেওয়া হবে তাদের বাড়ি, দেওয়া হবে কঠোর শাস্তি। এরপরেই লস্করে যোগ দেয় মহম্মদ ওয়াকার। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওই জঙ্গিকে। কী ভাবে জঙ্গি শিবিরে লস্করের তরফে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো, কী কী শেখানো হতো, কারা এই প্রশিক্ষণ শিবিরে যাতায়াত করত—-সেই সব ব্যাপারেই জেরা করা হচ্ছে ওয়াকারকে। সীমানা পেরিয়ে কী ভাবে ওয়াকার এ দেশ এল সেই ব্যাপারেও জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হামলার সঙ্গে এই জঙ্গি যুক্ত ছিল না বলেই জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।