অস্ত্র প্রশিক্ষণে সিদ্ধহস্ত। যে কোনও ফিদায়েঁ হামলার আগে তার ডাক পড়ে। নিপুণ কারিগরি দক্ষতায় বানিয়ে ফেলে গাড়িবোমা। অন্যান্য অস্ত্রেও নির্ভুল নিশানা। পাকিস্তানের জইশ সংগঠনের সে অন্যতম সক্রিয় সদস্য। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানিয়েছে, গত সপ্তাহে পুলওয়ামায় বড়সড় আইইডি বিস্ফোরণের অন্যতম মাথাও ছিল সে। বছর উনিশের যুবক মুন্না লহরিকে পাকড়াও করেছে এনআইএ।
অনন্তনাগ ও পুলওয়ামার হামলার পর থেকেই উপত্যকায় তোলপাড় করে চলছে জঙ্গি নিধন অভিযান। পুলওয়ামা ও সোপিয়ানে জইশ জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে এই দুই জেলায় তল্লাশি শুরু করে সেনা ও রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টিম। মঙ্গলবার ধরা পড়ে মুন্না লহরি। গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, মুন্নার কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। মনে করা হচ্ছে বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরে ঢুকেছিল সে। সঙ্গে ছিল বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। উপত্যকার জইশ জঙ্গিদের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করতে মাঝে মাঝেই পাকিস্তান থেকে ভারতে আসত মুন্না। পাশাপাশি, গাড়িবোমা বানানোও ছিল তার কাজ।
গত সপ্তাহেই জোড়া নাশকতায় রক্তাক্ত হয়েছিল উপত্যকা। পুলওয়ামাতেই আইইডি বিস্ফোরণে আহত হয়েছিলেন ৯ জন সেনা। অন্যদিকে, অনন্তনাগের বিদরু আকিনগাম এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ যায় এক সেনা মেজরের। আহত হন তিন সেনা জওয়ান। খতম হয় দুই জঙ্গিও। ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামাতেই জঙ্গি হামলার জেরে ভারত-পাক সম্পর্কে উত্তেজনা বেড়েছিল।
দিন কয়েক আগেই অনন্তনাগ এনকাউন্টারে জইশ কম্যান্ডার সাজ্জাদ ভাটের নিকেশ হওয়ার খবর মেলে। এনআইএ-র তদন্তকারীদের দাবি, সাজ্জাদেরই মারুতি ইকো গাড়িতে বিস্ফোরক বোঝাই করেই পুলওয়ামার লেথপোরায় সিআরপিএফের গাড়ির উপরে হামলা চালিয়েছিল আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমেদ বাট।