সংক্রমণ ছড়ানোর চেষ্টা, ভারতীয় মুসলিমদের লকডাউন ভাঙতে প্ররোচনা দিচ্ছে পাকিস্তান!

পুরোপুরি ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত অন্য দেশগুলিকে স্বস্তিতে থাকতে দেবে না পাকিস্তান। অন্তত ভারতকে তো নয়ই! তাদের সাম্প্রতিক কাজকর্ম দেখে সেটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের একটি রিপোর্ট তাঁদের সেই মনোভাবকেই মান্যতা দিয়েছে। করোনা (Corona) আতঙ্কে যখন গোটা বিশ্ব জেরবার। সব জায়গাতেই ভয়াবহ মৃত্যুমিছিল চলছে। তখনই অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে কাশ্মীর সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলি ছোঁড়ার পাশাপাশি জঙ্গিদের অনু্প্রবেশ করানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় নাশকতারও পরিকল্পনা নিয়েছে। রবিবার এই রকম পাঁচজন অনুপ্রবেশকারীকে খতম করেছেন ভারতীয় জওয়ানরা। অনেক অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। ঠিক এই সময়েই দিল্লি পুলিশের একটি রিপোর্টে পাকিস্তান সম্পর্কে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেল। জানা গেল, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে দ্রুত ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। তার জন্য এদেশে বসবাসকারী মুসলিমদের প্ররোচনা দিচ্ছে পাকিস্তান। এই বিষয়ে বিভিন্ন ভুয়ো খবর এবং ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে জড়িয়ে রয়েছে দিল্লির নিজামুদ্দিন মামলার মূল আসামি মৌলানা সাদও।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে দিল্লি পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানে বসে চিনের একটি ভিডিও মেকিং অ্যাপের মাধ্যমে ওই মিথ্যে খবর ও ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে। তারপর হোয়াটাসঅ্যাপ, টুইটার ও ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সেগুলি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে অনেক ভুল বার্তা যেমন দেওয়া হচ্ছে। তেমনি সরকারের ঘোষণা মতো ভারতীয় মুসলিমদের লকডাউন না মানতেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উসকানি দেওয়া হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব না মানতে।

নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষকে প্রভাবিত করার জন্যই যে ভিডিও ও খবরগুলি আপলোড করে হচ্ছে তারও প্রমাণ মিলেছে। শুধুমাত্র হিন্দি আর উর্দুতেই বানানো হচ্ছে এই ভিডিওগুলি। আর আপলোড করা হচ্ছে ‘দ্য মেসেজ অফ ইসলাম’ এবং ‘দিল্লি মার্কজ’ নামে দুটি ইউটিউব চ্যানেলে। লকডাউনের পর ওই চ্যানেল দুটিতে মৌলানা সাদের একটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছিল। তাতে মৌলানা সাদ-কে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সরকার যে নির্দেশিকা দিয়েছে তাকে ব্যঙ্গ করতে দেখা যাচ্ছে। এমনকী ওই ভিডিওটির মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়কে সরকারি নির্দেশ না মানতে ও সামাজিক দূরত্ব না বজায় রাখতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে নিজামুদ্দিন থাকা তবলিঘি জামাতের সদস্যদের কারও শরীরেরই করোনার সন্ধান পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করা হয়েছে।

দিল্লি পুলিশের আরও দাবি, ওই দুটি ইউটিউব চ্যানেলে মৌলানা সাদ ছাড়াও পাকিস্তানের এক তবলিঘি প্রচারক মৌলানা তারিক জামিলের বক্তব্যও মাঝে মধ্যে আপলোড করা হয়। উগ্র মৌলবাদী মানসিকতার জামিল আবার কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.