রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকের আগে সীমান্তে ফের অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করবে পাকিস্তান, এমনটাই জানা গিয়েছে গোয়েন্দা সূত্রে। এই বৈঠকের আগে সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা বেড়ে যাবে বলেই জানা গিয়েছে। বৈঠকের আগে ভারতের মনে উদ্বেগ বাড়াতেই ইসলামাবাদ এই পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।
২৩ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে শুরু হচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জের জেনারেল অ্যাসেম্বলি মিটিং। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই বৈঠক। এই বৈঠকের শুরুর দিকেই বক্তব্য রাখার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
জানা গিয়েছে, গোয়েন্দা মারফত এই খবর পাওয়ার পর ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এই মিটিং-এ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাচ্ছেন না। তার বদলে তিনি এই সময় জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তার ব্যাপারে দেখভাল করবেন বলে খবর। কারণ, গোয়েন্দা সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্যের আগেই সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি করার চেষ্টা করবে পাকিস্তান।
ইতিমধ্যেই একাধিকবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর সমস্যা তুলে ধরার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। কিন্তু তাতে বিশেষ কিছু লাভ হয়নি ইসলামাবাদের। কারণ, রাষ্ট্রপুঞ্জে বারবার ভারতই বেশি সমর্থন পেয়েছে। কিন্তু তাতে হাল ছাড়তে রাজি নয় পাক সরকার, এমনটাই জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। সামনের বৈঠকে নিজের বক্তব্যে ফের কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলবেন ইমরান। ফের একবার কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি।
আর এই সময় কাশ্মীরের পরিস্থিতি অশান্ত করতেই সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিদের ভারতে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান, এমনটাই জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করার ঘটনা গতবারের হিসেব পেরিয়ে যেতে বসেছে। গত বছর ২১৪০ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালিয়েছিল পাক সেনা। এ বার ইতিমধ্যেই তা ২০৪৭ হয়ে গিয়েছে।
সেনা সূত্রে খবর, শীত পড়ার আগে কেরান, কুপওয়ারা, গুরেজ ও গুলমার্গ সেক্টরের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গিদের ঢুকিয়ে দিতে চাইছে পাকিস্তান। কিন্তু ভারতীয় সেনারাও কোনও ভাবেই পাক সেনাকে ফাঁকা জমি ছাড়তে নারাজ। কাশ্মীরে অশান্তি যাতে না হয়, তার সবরকমের চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। ইসলামাবাদের সব পরিকল্পনা বানচাল করতে বদ্ধপরিকর নয়াদিল্লি।