বুধবার পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর’ থেকে ভারত বিরোধী বক্তব্যের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে নিজের ‘পয়েন্ট’ বাড়াতে চেষ্টা করেছিলেন ও দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বক্তব্যের সিংহ ভাগ জুড়েই ছিল ভারত বিরোধিতা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি ব্যক্তিগত বিষোদগার এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের উদ্দেশ্যে কুকথা।
ইমরানের বক্তব্যের পর তার ঘরোয়া জনতা খুশি হলেও তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পালটা প্রত্যুত্তরের অপেক্ষায় ছিল। বৃহস্পতিবার, ১৫ অগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন অভিনব জবাব দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের বক্তব্যে ‘পাকিস্তান’ শব্দটি একবারের জন্যও উচ্চারণ না করে মোদী ইমরানকে বুঝিয়েছেন, ক্রিকেট মাঠের স্লেজিং এবং রাজনীতির মধ্যে বিস্তর তফাৎ রয়েছে। তফাৎ মস্তিষ্কের।
বেআইনি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের তথাকথিত ‘আইনসভা’য় দাঁড়িয়ে বুধবার ইমরান বলেছিলেন, ভারত নাকি অধিকৃত কাশ্মীর আক্রমণ করবে। পাক সেনা শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে। ইমরানের আজগুবি কথাবার্তা এখানেই শেষ হয়নি। তিনি বলেছেন, ভারত যে অধিকৃত কাশ্মীর আক্রমণ করবে সে খবর পাক সেনারা কাছে রয়েছে।
ইমরানোচিত এই বক্তব্য বিশ্লেষণ করার বিশেষ দরকার পড়ে না। কারণ সারা বিশ্ব জানে, পাকিস্তানে সামরিক শাসন চলছে। ‘শিখন্ডি’ সারা বিশ্বের দরবারে ‘প্রধানমন্ত্রী’ হিসাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ইমরান।
বৃহস্পতিবার, স্বাধীনতা দিবসের দিন সকালে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণে ছিল উন্নয়নের বার্তা। প্রস্তাবিত উন্নয়নের কথা বলেছেন মোদী। পর্যটন থেকে ডিজিটাল লেনদেন, প্লাস্টিক মুক্ত ভারত থেকে আইন সংশোধন – আগামী দিনের কথা দেশবাসীকে বলতে চেয়েছেন মোদী। দেশে মোদীর কথা শুনে তাঁর অনুরাগীরা খুশি হয়েছেন। মোদী বিরোধীরা বিরোধিতা এবং সমালোচনা করেছেন। কিন্তু, সব থেকে বেশি হতাশ হয়েছেন পাক সেনা এবং তাঁদের ‘কর্মচারী’ ইমরান খান। কারণ মোদীর স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য পাকিস্তানকে প্রায় বাস্তুহারা করে দিয়েছে।
মোদীর বক্তব্যে, পাকিস্তানের জন্য যে কিছু ছিল না তেমন নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা সন্ত্রাসবাদকে সাহায্য এবং রক্ষা করে তাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে। আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কাও সন্ত্রাসবাদের ভুক্তভোগী। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধ্যে লড়াইয়ে সারা বিশ্বকে এক হতে হবে। স্বাভাবিক ভাবেই মোদীর এই ভাষণের পর ঘরের মাঠেই পালানোর পথ নেই ইমরানের।