পাকিস্তান যে আন্তর্জাতিক ইসলামিক জঙ্গিদের ফ্যাক্টরি তার জ্বলন্ত প্রমান পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ভাবে। নর্থার্ন এলায়্যান্সের ঘাঁটিগুলোতে পাকিস্তানী ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে কাবুলে প্রতিবাদের ঝড় উঠার মাঝেই পাকিস্তানের লাল মসজিদের কুখ্যাত মৌলানা আজিজ প্রকাশ্যে গর্বের সাথে দাবি করলো আফগানিস্তানে তালিবানের বিজয়ের প্রধান ভূমিকা নিয়েছে ১০০০ ফিদায়েঁ মুজাহিদ যারা ওই মসজিদ থেকে জঙ্গি ট্রেনিং নিয়েছে।
মৌলানা আজিজ আরো বলে যে সারা পৃথিবীতে জেহাদের জন্য লাল মসজিদ আরো ১৫ থেকে ২০ লক্ষ মুজাহিদের যোগান দিচ্ছে। এই মুজাহিদদের বেশিরভাগকেই কাশ্মীরে পাঠানো হতে পারে বলে ধারণা। আবার সমুদ্র পথে কয়েক হাজার মুজাহিদকে বাংলাদেশে পাঠানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর। আফগানিস্তানে তালিবানের ক্ষমতা দখলের আগে থেকেই বাংলাদেশ থেকে কয়েকশো যুবক জেহাদের স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি জমিয়েছে আফগানিস্তানে।
বাংলাদেশ সোভিয়েট যুদ্ধের সময় ও মুজাহিদের যোগান দিয়েছিলো। বাংলাদেশের কট্টরপন্থীদের মধ্যে তালিবান প্রীতি সুবিদিত। খিলাফতের ডাকে জেহাদি হওয়ার এই প্রবণতা বাংলাদেশের টেরর অপেরাটরদের সাথে যুক্ত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর যুবকদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রের মতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে একদল জঙ্গি যাদের এক অংশ রাজ্যে নাশকতা ছড়াবার পরিকল্পনা করছে।
বাকি গ্রুপের সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গ হয়ে দেশের অন্যান্য রাজ্য পেরিয়ে ইতিমধ্যে আফগানিস্তানের পথে রওয়ানা দিয়েছে। এদিকে জামাতুল মুজাহিদিন, আনসার-আল -ইসলাম, হুজি ও জামাত-উদ-দাওয়া বাংলাদেশেও চাইছে আফগানিস্তানের মতো অভ্যুথান। এই উদ্যেশ্যে পশ্চিমবাংলাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সহ গড়তে চাই বৃহত্তর ইসলামিক ভূখণ্ড।
সুতরাং তালিবানি রাজত্বের ছায়াকে এরা সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে এবার বদ্ধপরিকর। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বলা যায় কাশ্মীরের সাথে সাথে বিপদ বাড়লো পশ্চিমবঙ্গ ভারতের পূর্ব প্রান্তের রাজ্যগুলোর।