জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর থেকেই পাকিস্তান একের পর এক দেশে সামনে হাতজোড় করে তাঁদের সাহায্যের আবেদন করেই চলেছে, কিন্তু তাঁদের সমর্থনে কোন দেশই এগিয়ে আসছে না। গোটা বিশ্বের সামনে বেইজ্জত হওয়ার পর এবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে নিজের দেশের মানুষই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে। পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ইমরান সরকারের উপর আক্রমণ করে বলে, সরকারের ভুল নীতি আর ভারতের কূটনৈতিক সফলতার কারণেই আজ পাকিস্তান গোটা বিশ্বে একঘরে হয়ে গেছে।
পাকিস্তানি মিডিয়া অনুযায়ী, পিপিপি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক এ ইনসাফ সরকারের এক বছর পূরণ হওয়ার এক বছরে একটি চিঠি জারি করেছে গোটা পাকিস্তানের জন্য। এক বছর পূরণ হওয়ার জন্য ইমরান সরকার এটিকে পরিবর্তনের এক বছর বলেছে, আরেকদিকে পিপিপি এই এক বছরকে বরবাদি এর এক বছর বলে আখ্যা দিয়েছে।
পিপিপি ওই পত্র জারি করে বলেছে, বিগত এক বছরে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক স্তরে অনেকটাই কমজোর হয়ে পড়েছে। ১১২ পাতার এই পত্রে পিপিপি ইমরান খান সরকারকে ‘সিলেক্টেড সরকার” ( সেনা আর অনান্য প্রতিষ্ঠানের সমর্থনে গড়া সরকার ) বলে আখ্যা দিয়েছে। সরকার বিগত এক বছরে প্রতিশ্রুতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া এবং খারাব নীতির সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
পিপিপি অভিযোগ করে বলেছে যে, পাকিস্তান তেহরিক এ ইনসাফ বলেছিল যে, তাঁরা ঋণ এর জন্য আইএমএফ এর কাছে যাবেনা। কিন্তু তাঁরা সেই আইএমএফ এর কাছেই গেছে। ইমরান খান আইএমএফ এর থেকে ঋণ নিয়েছে। পাকিস্তানি মিডিয়াতে অনেক রকম নিষেধাজ্ঞা যারই হয়েছে। দেশে দারিদ্রতা আর মূল্যবৃদ্ধি চরম স্তরে পৌঁছেছে। পিপিপি এর চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো জরদারি বলেন, ইমরান খানের সরকারের এক বছরে দেশের আর্থিক অবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশের অর্থব্যাবস্থা আইএমএফ এর কাছে ঋণী। আর রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক দিক থেকে পাকিস্তান গোটা বিশ্বে এখন একঘরে হয়ে গেছে।