পাকিস্তানের সিন্ধু জল কমিশন জানায়, ভারত এখনো পর্যন্ত সতলজ নদীতে ২৪ হাজার কিউসেক জল ছেড়ে দিয়েছে, যার ফলে পাকিস্তানে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর সাথে ইসলামাবাদও সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে ভারতের পদক্ষেপে চিন্তা জাহির করে বলেছে, তাঁরা চুক্তিতে লেখা নিজেদের অধিকারের রক্ষার জন্য সমস্ত বৈকল্পিক ব্যাবস্থা খতিয়ে দেখবে। পাকিস্তানের জল সংসাধন মন্ত্রী ফৈজল বাববডা সোমবার একটি বয়ানে বলেন, চুক্তি অনুযায়ী, ভারত পাকিস্তানে বন্যা আসার আগে সূচনা দেওয়ার জন্য বাধ্য, কিন্তু বারবার আবেদন করে মনে করানোর পরেও চুক্তি অনুযায়ী কাজ হচ্ছেনা।
পাকিস্তানের জল কমিশন সুত্র অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ পাকিস্তানের এলাকা গুলো থেকে খবর পাওয়া যায় যে, ভারত সতজল নদীতে ২৪ হাজার কিউসেক জল ছেড়ে দিয়েছে। সুত্র আরও জানায় যে, হেরাইক আর ফিরোজপুর ব্যারেজে দের লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, আর সতজল নদীতে ২ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।
পাকিস্তানের জল সংসাধন মন্ত্রী ফৈজল বাববডা জানান, ভারত এই সমন্ধ্যে আমাদের কিছুই না জানিয়ে সতজল নদীতে কমপক্ষে ২ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়ে দিয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার মুখতার আহমেদ বলেন, ভারতের পাঞ্জাব থেকে সতজল নদীতে ছাড়া জল মঙ্গলবার যেকোন সময় পাকিস্তানে ঢুকে যেতে পারে, আর এই জলের কারণেই পাকিস্তানের ওই এলাকা গুলোতে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
পাকিস্তানের জল সংসাধন মন্ত্রী ফৈজল বাববডা জানান, পাকিস্তানের কমিশন ভারতের দ্বারা আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি পূরণ না করার জন্য চিন্তা জাহির করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, ভারত নিয়মিত ভাবে তাঁদের দিক থেকে পাকিস্তানকে এই সম্বন্ধীয় সব তথ্য দেওয়ার কথা ছিল। পাকিস্তানের জল সংসাধন মন্ত্রী ফৈজল বাববডা জানান, ১৯৬০ সালের এই চুক্তি পাকিস্তান আর ভারতের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার একটি উপায় ছিল, কিন্তু ভারত যদি এই চুক্তি লঙ্ঘন করে, তাহলে পাকিস্তানও উচিত পদক্ষেপ নেবে। পাকিস্তানের জল সংসাধন মন্ত্রী ফৈজল বাববডা জানান, পাকিস্তান একটি দ্বায়িত্ববান দেশ, আর তাঁরা চুক্তি বজায় রাখার জন্য সমস্ত রকম বিকল্পের সাহার নেবো।