কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের তোপ প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে, ইউনিসেফের দূতের পদ থেকে সরানোর দাবি

অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া যুদ্ধোন্মাদনায় মদত দিয়েছেন। কাশ্মীরে ভারত সরকারের কার্যকলাপকে সমর্থন করেছেন। অতএব তাঁকে ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূতের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। পাকিস্তানের মানবাধিকার মন্ত্রী শিরিন মাজারি এমনই আবেদন করেছেন ইউনিসেফের কাছে।

ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হেনরিয়েটা ফোরকে চিঠি লিখে মাজারি বলেছেন, প্রিয়ঙ্কা যুদ্ধের প্রচেষ্টায় সমর্থন করেছেন। এমনকী পরমাণু যুদ্ধ হলেও তাতে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জের যে পদে আছেন, তার মর্যাদা দেননি। তাঁকে যদি অবিলম্বে না সরানো হয়, শুভেচ্ছা দূতের পদটি বিশ্ব জুড়ে হাস্যকর হয়ে উঠবে।

মাজারির অভিযোগ, মোদী সরকার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে। তাই সেখানে গভীর সংকট দেখা দিচ্ছে। একইসঙ্গে অসমের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, মোদী সরকার সেখানে লক্ষ লক্ষ মুসলিমকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করেছে। নাৎসিদের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের মতো বন্দিশিবির তৈরি করেছে।

কাশ্মীর সম্পর্কে তিনি বলেন, নিরাপত্তা রক্ষীরা সেখানে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে আরও বেশি বেশি করে পিলেট গান ব্যবহার করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে মাজারি বলেন, ভারতের বিজেপি সরকার নাৎসিদের নীতি নিয়ে চলছে। তারা জাতিবিদ্বেষ, ফ্যাসিবাদ ও গণহত্যায় বিশ্বাসী। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং পরমাণু অস্ত্র নিয়ে যা বলেছেন, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া তাতে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন। মাজারির দাবি, অভিনেত্রীর এই আচরণ শুভেচ্ছা দূতের পদের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

ইমরান খানের সরকার কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে সরব হয়েছে। প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে মাজারির বক্তব্য তাঁদের সরকারের এই উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.