জম্মু ও কাশ্মীর (jammu kashmir) ইস্যুতে লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাক্ষাতের পর সেখানে কিছু রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে চলেছেন। জম্মুকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিয়ে, নানাবিধ পরিবর্তনের প্রসঙ্গে যেন কাঁটা গায়ে নুনের ছিটা লাগল পাকিস্তানের (pakistan)।
জম্মু কাশ্মীরে প্রশাসনিক ও জনসংখ্যা সংক্রান্ত পরিবর্তনের প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। আবারও জম্মু কাশ্মীরকে পৃথক করার ইস্যুতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরী বলেন, এই ধরণের কোন আইন প্রভাব ফেলতে পারবে না। ভারত একতরফা ও অবৈধ পদক্ষেপ নিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।
তিনি আরো বলেন, ভারত কখনই কাশ্মীরি জনগণ এবং পাকিস্তানকে তাঁদের অবৈধ নীতি মানতে বাধ্য করতে পারে না। পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যখন কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতের সঙ্গে মধ্যস্ততা করতে আগ্রহ দেখাচ্ছিল, সেইসময় জাহিদ হাফিজ চৌধুরীর এই মন্তব্য কিছুটা চাপে ফেলে দিল পাক সরকারকে।
সম্প্রতি ইসলামাবাদে উপস্থিত তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতির সাথে বৈঠকেও ভারতের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানে তিনি জানান, ভারত যদি ৩৭০ ধারা পুনরুদ্ধারের বিষয়ে কিছু আলোচনা করতে চায়, তাহলে পাকিস্তান কথা বলতে রাজী। কিন্তু ভারতের দিক থেকে স্পষ্ট বার্তা, পাকিস্তান সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ না করলে, ভারত এই বিষয়ে কোন আলোচনায় বসবে না।