কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে কটাক্ষ করার পর থেকেই পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে তাঁরা সরব হবে। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে তা পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানানো হয় পাকিস্তানের তরফে। তবে সিমলা চুক্তিকে সামনে রেখে তা খারিজ হয়ে যায় খুব সহজেই।
আন্তর্জাতিক মহলেও মেলেনি সমর্থন। চিন থেকে রাশিয়া সকলেই সংযমি হতে বলেছে পাকিস্তানকে। তাই পাকিস্তান বুঝতে পেরেছে যে ফের কাশ্মীর ইস্যুতে হুঙ্কার দিলে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের পাঁচ স্থায়ী সদস্য (পি৫) ও মুসলিম দেশগুলি থেকে কোন বিষয়েই সমর্থন পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, “রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল ফুলের সাথে নেই। যে কোনও একজন সদস্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এটা নিয়ে কোনও ধোঁয়াশা থা উচিত নয়। বোকাদের দেশে বাস করা উচিত নয়।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন যে, “পাকিস্তান ও কাশ্মীরের মানুষদের এই বিষয়ে অবগত হতে হবে যে না কেউ ওদের জন্য অপেক্ষা করছে অথবা তাঁদের আমন্ত্রণের অপেক্ষা করছে।” কাশ্মীরের স্পেশাল স্ট্যাটাস মুছে দেওয়ার ঠিক সাতদিন পর এই ঘটনা ঘটছে। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে রাশিয়া খোলাখুলিভাবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়েছে, তাঁরা স্পশটভাবে জানায় যে ভারত সংবিধান মেনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি এও বলে যে এই বিষয়টি দ্বিপাক্ষিক যা দুই দেশের মধ্যেই কথা হওয়া উচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তরফে একই কথা বলা হয়। কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করার প্রেক্ষিতে অনেকবার বলার পরও অগাস্টের ৬ তারিখ পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর চিঠি খারিজ করা হয় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে।
অরগানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনের দুই সদস্য ইউনাইটেড আরব অফ এমিরেটস ও মালদিভস কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ, কাশ্মীরের স্পেশাল স্ট্যাটাস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছে ও বলে যে এটি ভারতের অভ্যন্তরীন ব্যাপার।