ইস্ট-ওয়েস্ট ফ্রন্টে খতম হয়েছে পাকিস্তানের ১৮ সৈনিক: পোল খুলে দিলেন পাক সাংবাদিক।

একদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে পাকিস্তান ভারতের সাথে দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হচ্ছে। যার কারণে ভারতের পাল্টা আক্রমণে পাকিস্তান বড়ো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অন্যদিকে আফগানিস্তান বর্ডারে তেহেরিক তালিবানের দ্বারা পাক সেনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অর্থাৎ, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নীতি পশ্চিম-পূর্ব ফ্রন্টের বিরুদ্ধে দ্বৈত যুদ্ধের দিকে পরিচালিত করেছে। ফলস্বরূপ, পাকিস্তান একটি  চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক ওয়াজাহাত খানের মতে, প্রতিদিনের সম্মুখভাগে পাকিস্তানের ১৫ থেকে ১৮ জন সেনা নিহত হচ্ছে।

যার তথ্য পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তাদের দেশ থেকে গোপন করছে। অর্থাৎ পাকিস্তান নিজেদের শহীদদের তথ্য নিজের দেশবাসীর উপর গোপন করছে। আশ্চর্যের বিষয়, এত বড় ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও, পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে। ১৫ ই আগস্ট, পাকিস্তান রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলার অঞ্চলগুলিতেও ভারী গুলি চালিয়েছিল। এর প্রতিক্রিয়ায়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি পোস্ট উড়ে যায়।

পরিকল্পনা ছিল একদিকে আক্রমন করা অন্যদিকে ভারতে আতঙ্কবাদী প্রবেশ করিয়ে দেওয়া। ভারতের সেনার কাছে আগে থেকেই খবর ছিল যে পাকিস্তান কোনো কুকর্ম করার সুযোগে বসে রয়েছে। ভারতের সেনা এন্টি ট্যাংক মিসাইল তৈরি রেখেছিল। ভারতের সেনা এন্টি ট্যাংক মিসাইল দিয়ে পাকিস্তানের উপর আক্রমন করে তাদের এন্টি ক্র্যাফট হেভি গানকে ধ্বংস করে দেয়।

যার মধ্যে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পোল খুলতে আরম্ভ হলে, শুক্রবার পাকিস্তান স্বীকার করেছে যে নিয়ন্ত্রণের লাইনে তার ৪ জন সেনা মারা গিয়েছিল। তবে পাকিস্তান সোশ্যাল মিডিয়া মিথ্যা খবর ছড়িয়েছে। পাক সেনা বলেছে যে ভারতের ৫ সেনাকে তারা নিহত করেছে। যদিও এটা সম্পূর্ণ অসত্য।

ভারতের সেনা জানিয়েছে যে এই রকম কোনো ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন তাদের হতে হয়নি। আর এখন পাকিস্তানের সাংবাদিক নিজে পাকিস্তানের পোল খুলে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.