ভারতের ভয়ে ক্রমশ পিছু হঠছে পাকিস্তান! ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে পাক ফৌজের এলিট ‘স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ’ সরাচ্ছে ইমরান খান সরকার। এমনটাই সূত্রে জানা গিয়েছে। মূলত জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা কমাতেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে পাকিস্তান।
জানা গিয়েছে, ২০০৩ সালের সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি মেনে চলার পাশাপাশি, সংঘাতের সম্ভাবনা এড়াতে ইসলামাবাদের তরফে নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে পাক সেনার এলিট ‘স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ’ সারনোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যা অবশ্যই মোদী সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য হিসাবেই মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরা।
পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পরে পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে আসে ভারতীয় বায়ুসেনা। যার পালটা হিসাবে ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তান এয়ারফোর্স। যা নিয়ে চরমে ওঠে দুদেশের উত্তেজনা। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তেও কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। সীমান্তে ভারতীয় সেনাকে যে কোনও পরিস্থিতির জন্যে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। দুই দেশের টেনশনে কার্যত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে গোটা বিশ্ব। এই অবস্থায় কার্যত যুদ্ধবন্দি হয়ে থাকা বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে ফিরিয়ে দিয়ে শান্তির বার্তা দেয় পাকিস্তান। উল্লেখ্য, ভারতের আকাশসীমা পাকিস্তান এয়ারফোর্স লঙ্ঘন করার সময় পালটা ধাওয়া করতে গিয়ে সীমান্তের ওপারে পড়ে যান অভিনন্দন।
যুদ্ধের পরিস্থিতি থেকে সরে আসলেও এখনও উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। লাগাতার বিনা প্ররোচনাতে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। টার্গেট করা হয় ভারতীয় সেনা ছাউনি। ভারতীয় সেনার অভিযোগ, অধিকাংশ সংঘর্ষের ক্ষেত্রেই প্রাথমিক প্ররোচনা এসেছে পাক ‘স্পেশ্যাল সার্ভিস গ্রুপে’র তরফে। পাক ফৌজ এবং লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর যৌথবাহিনী ‘বর্ডার অ্যাকশন টিম’ (ব্যাট) অনেকক্ষেত্রে হামলার জন্য দায়ী। যদিও ভারতীয় সেনার পালটা প্রত্যাঘাতে সীমান্তের ওপারে কার্যত মৃত্যুমিছিল হয়ে যায়। ভারতের পালটা মারে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তান। আর সেজন্যে এবার পাকাপাকিভাবে সীমান্তে শান্তি চাইছে পাকিস্তান।
এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর মোতাবেক, আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাত নিয়ে দু’তরফের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস ‘হট লাইনে’র মাধ্যমে নিয়মিত আলোচনা করেন। পাক সেনার তরফে সেই আলোচনাতে সীমান্তে পাকাপাকিভাবে শান্তি বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি মাসুদ আজহার ইস্যুতে গোটা বিশ্বের কাউকে পাশে পায়নি পাকিস্তান। এমনকি সব ঋতুর বন্ধু চিনকেও নয়। জঙ্গি কার্যকলাপ ইস্যুতে যথেষ্ট চাপে ইমরান খান সরকার। এই অবস্থায় কার্যত ইতি টানতে চাইছে পাকিস্তান, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।