তিনদিনের ভারত সফর শেষে শনিবার নয়াদিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের হাসিনা বলেন, ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। মোদীর সঙ্গে মুজিব-কন্যার বৈঠকে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি, অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণের মতো বিষয় যেমন উঠে এসেছে, তেমনই উঠে এসেছে সীমান্ত লাগোয়া এলাকার যোগাযোগ, পরিবহণের মতো বিষয়।
বাংলাদেশ থেকে এলপিজি গ্যাস সরবরাহ-সহ তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন হয় এ দিন। হাসিনা বলেন, “এই প্রকল্পের ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে রান্নার গ্যাসের সমস্যা অনেকটাই মিটবে।” বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যোগ দিয়েছিলেন বাণিজ্য সম্মেলনে। এ দিন হাসিনা বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, অসমে নাগরিক পঞ্জিকরণ নিয়ে বাংলাদেশকে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে না।”
মোদী বলেন, “এক বছরে এই নিয়ে ১২টি দ্বিপাক্ষিক প্রকল্প উদ্বোধন করা হল। সবকটি প্রকল্প দু’দেশের কর্মসংস্থান ও উন্নয়নকে অনেকটা এগিয়ে দেবে।” লাভবান হবেন দু’দেশের সাধারণ মানুষ।” সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়েও দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কথা হয় বৈঠকে। হাসিনা জানিয়েছেন সন্ত্রাসের প্রশ্নে ভারত এবং বাংলাদেশ—উভয়েই আপোসহীন।
এ দিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর হাসিনা যেমন ‘জয় বাংলা’ উচ্চারণ করে তাঁর বক্তৃতা শেষ করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকেও দেখা যায় তাঁর বক্তৃতার শেষে ‘জয় বাংলা’ বলতে। শেষে সাংবাদিকদের হাসিনা বলেন, পারস্পরিক এই নিবিড় সম্পর্কই দু’দেশের ঐতিহ্য।