দেশজুড়ে চলছে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার। দেশের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার জন্য চালু হয়েছে অক্সিজেন এক্সপ্রেস। সেই অক্সিজেন এক্সপ্রেস এসে পৌঁছল দিল্লি। মঙ্গলবার সকালে ৭০ টন অক্সিজেন দিল্লিতে এসে পৌঁছল।
রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, “করোনা রোগীদের জন্য ছত্তিশগড়ের রায়গড় থেকে অক্সিজেন দিল্লিতে এসে পৌঁছেছে। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে দেশজুড়ে এই প্রাণদায়ী অক্সিজেন পৌঁছে দিতে চেষ্টার কোনও কসুর করছে না ভারতীয় রেল।” দিল্লি সরকার এই অক্সিজেন বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেবে। হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন পৌঁছনোর জন্য দিল্লি সরকার ট্যাঙ্কারের ব্যবস্থা করেছে। গত কয়েকদিন ধরে দিল্লি ও মফঃস্বলের হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের সংকট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। অক্সিজেনের অভাবে দিল্লিতেই মৃত্যু হয় ২৫ জন করোনা রোগীর।
এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তাই কোমর বেঁধে ময়দানে নামে কেন্দ্র। গত কয়েকদিন ধরে গোটাদেশে যে হারে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে সারাদেশে তরল মেডিকেল অক্সিজেন এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার পরিবহনের জন্য অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় রেল। রবিবার রাতে ছত্তিশগড়ের রায়গড় জিন্দল অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে ৭০ টন লিকুইড অক্সিজেন নিয়ে রওনা হয় অক্সিজেন এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার সকালে দিল্লিতে অক্সিজেন পৌঁছে যায়। তারপর সেখান থেকে ট্যাংকারে করে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যাবে অক্সিজেন। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ করতে রেলওয়ে আঙ্গুল, কালিনগর, রাউরকেলা এবং রায়গড় থেকে দিল্লি ও এনসিআর অঞ্চলে অক্সিজেন পরিবহনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অতিদ্রুত দেশের তথা দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে অক্সিজেন সরবরাহ করতে আপ সরকারকে রোড ট্যাঙ্কার প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর এর জন্য রাজ্যগুলিকে সড়কপথে অক্সিজেন নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্যাঙ্কার প্রস্তুত রাখার কথা বলা হয়েছে।
সোমবার দিল্লিতে কোভিড-১৯ এর মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮০ জন সংক্রমণে মারা গিয়েছেন। যদিও দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুসারে ইতিবাচক হার ৩৫ শতাংশেরও বেশি।