ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে লাগাতার চীনের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে বিগত ৪-৫ বছরে বাংলাদেশে চীনের প্রভাব অতি হয়ে উঠেছে। ২০১৬ সালে চীনের রাষ্ট্রপতি জিনপিং বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তখন দুই দেশ নিজেদের রিলেশনকে আপগ্রেড করে স্ট্রাটেজির মর্যাদা দিয়েছিল। অর্থাৎ যেভাবে ভারত ও রাশিয়া এবং ভারত-জাপান স্ট্যাটেজিক পার্টনার সেইভাবে চীন বাংলাদেশ স্ট্যাটেজিক পার্টনার।
চীনের প্রতি বাংলাদেশের এই প্রেমের মূল কারণ চাইনিজ ইনভেস্টমেন্ট (FDI)। অন্যদিকে ভারতের কথা বললে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্চ মাসে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন। সেই সময় ঢাকা সহ বাংলাদেশের বহু অঞ্চলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা হয়েছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিমান বাংলাদেশে নামতে বা দেওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছিল বাংলাদেশের মৌলানা মৌলিবীরা।
তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে এমন ব্যাবহার সত্ত্বেও আরো একবার বাংলাদেশের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। বিপদের সময় কিভাবে বন্ধুর সাহায্য করতে হয় দেখিয়েছে ভারত সরকার। ভারত নিজের ভ্যাকসিন মৈত্র প্রোজেক্টে মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিয়েছিল। এরপর অক্সিজেনের অভাবে বাংলাদেশে মৃত্যু সংখ্যা বৃদ্ধির খবর সামনে আসছিল।
অক্সিজেনের জন্য বাংলাদেশ সরকার বিদেশী সাহায্যের আবেদন করে। এক্ষেত্রেও ভারত নিজের প্রতিবেশী ধৰ্ম পালন করে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারত থেকে ৪ টি অক্সিজেন এক্সপ্রেসে ট্রেন (oxygen express) বাংলাদেশে পৌঁছে গেছে। প্রথম অক্সিজেন এক্সপ্রেসে ট্রেন ২৫ জুলাই পাঠানো হয়েছিল। আর এখন বাকি অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেন পাঠিয়ে বাংলাদেশের চিন্তা দূর করেছে ভারত।