গত পাঁচ মাসে করোনায় সুস্থতার পথে সবথেকে বেশি অগ্রগতি হয়েছে ভারতে। শুক্রবার এমনই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি গোটা দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যার তিন চতুর্থাংশ সুস্থ হয়েছেন গত পাঁচ মাসে।মোট করোনা আক্রান্তের মাত্র এক চতুর্থাংশ এখন অ্যাক্টিভ করোনা রোগী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানাচ্ছে, টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট এই পদ্ধতি মেনেই করোনা মোকাবিলায় অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। একটি গ্রাফচিত্র ট্যুইট করে এদিন এই তথ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানায়। তবে দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হলেন ৭৭ হাজার ২৬৬ জন। এই সময়ের মৃত্যু হয়েছে ১০৫৭ জনের।
নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যুর জেরে দেশে মোট করোনার প্রকোপও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশজুড়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ লক্ষ ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৯৪৮ জন। দেশে অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৭ লক্ষ ৪২ হাজার ২০৩ টি। দেশজুড়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৬১ হাজার ৫২৯ জনের।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দিল্লিতে আরোগ্যের হার ৯০ শতাংশ। তামিল নাড়ুতে ৮৫ শতাংশ। বিহারে আরোগ্যের হার ৮৩.৮০ শতাংশ। দমন-দিউ, দাদরা ও নগর হাভেলিতে ৮২.৬০ শতাংশ, হরিয়ানাতে আরোগ্যের হার ৮২.১০ শতাংশ ও গুজরাতে হার ৮০.২০ শতাংশ বলে জানা গিয়েছে।
যতদিন না ভ্যাকসিন না আসছে, ততদিন আপাতত চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করছে সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাচের উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে রাশিয়া। এই বিষয়ে ভারত-রাশিয়া যোগাযোগে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এছাড়াও ব্রিটিশ ফার্মা সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রা জেনেকা’র সঙ্গে যৌথভাবে ভ্যাক্সিন তৈরি করছে ভারতের ‘সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।’ এছাড়া ভারতের আরও এক সংস্থা ‘ভারত বায়োটেক’ তৈরি করছে ‘কোভ্যাক্সিন।’ তবে ঠিক কবে এই ভ্যাকসিন বাজারে আসবে তা এখনই জানানো হয়নি।
শুধু ফুসফুস নয়, করোনা মানব দেহের প্রতিটি অংশের বা অঙ্গের নীরবে ক্ষতি করতে পারে। এমনই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এইমস। দিল্লির এইমস জানাচ্ছে এই সব ক্ষতি ভবিষত্যে হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যাও তৈরি করতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী মৃদু, মাঝারি ও জটিল- যে ধরণেরই করোনা পরিস্থিতি হোক না কেন, তাতে শরীরের যেকোনও অংশেই বড় মাপের ক্ষতিসাধন করতে পারে করোনা।