কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকে পাকিস্তান সীমান্ত থেকে বার বার পরমাণু যুদ্ধে হুঁশিয়ারি, হিংসার হুঁশিয়ারি উঠে আসছে। আর ইমরান খান যখন কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া নিয়ে ব্যস্ত, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাশিয়া সফরে গিয়ে সেদেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ভারতে একের পর এক ব্যবসায়িক সম্ভাবনার ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসছেন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক , মোদীর রাশিয়া সফরের সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক বিষয় কোনটি।
পরমাণু জ্বালানি:
ভারতের মাটিকে তৈরি হবে পরমাণু জ্বালানি, আর তা নিয়ে রীতিমতো উদ্যোগী ভারত । এই বিষয়ে আলোচনা হয়ে গিয়েছে দুটি দেশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মধ্যে। এর আগে , জ্বালানি প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘রোসাতোম’ জানিয়ে দেয় , পরমাণু জ্বালানির বিষয়ে তারা ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
দুই দেশের মধ্যে মৌ স্বাক্ষরিত:
ভারত ও রাশিয়া দুটি দেশের মধ্যে মৌ স্বাক্ষরিত হয় পরমাণু শক্তি নিয়ে। আর সেখানেই ভারতের বুকে পরমাণু জ্বালানি তৈরির বিষয়টি প্রকাশ্য়ে আসে । এতে ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে কার্যকরী ভূমিকা নেবে বলে জানা গিয়েছে। আর কোদানকুলাম নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টে এই জ্বালানি তৈরি হবে বলে খবর।
পুতিন -মোদী সখ্যতা আরও গাঢ় প্রসঙ্গত:
শুধুমাত্র পরমাণু জ্বালানি প্রস্তুতি ঘিরেই রাশিয়ার সহযোগিতা পাচ্ছে না ভারত। এর পাশাপাশি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে মোদীর সখ্যতা আরও গাঢ় হয়েছে এইবারের রাশিয়া সফরে। তার জেরে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ার জয়ের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মোদীকে আমন্ত্রণ জানান পুতিন। যে ঘটনা নিঃসন্দেহে দুটি দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় বিষয়।