আজ ব্রাত্য বসু কিভাবে একটা নির্ভেজাল মিথ্যে বলে এলেন ত্রিপুরায় প্রেস কনফারেন্সে । আই প্যাক ত্রিপুরায় কাদের হয়ে কাজ করছে তিনি নাকি জানেন না । তাঁর কাছে নাকি অফিসিয়াল কোন খবর নেই । নির্বিকার ভাবে পাশে আইন মন্ত্রীকে বসিয়ে মিথ্যেটা বললেন সর্বসমক্ষে ।
প্রশ্ন, তাহলে কি করতে দুই মন্ত্রী ও এক গুণধর ঋতব্রত আগরতলায় গেছেন ? আজ আরও যাচ্ছেন কাকলী ঘোষ দস্তিদার, ডেরেক ওবরায়েন । কাল যাওয়ার কথা অভিষেক ব্যানার্জির । এঁরা তাহলে কার জন্য যাচ্ছেন ? তৃণমূলের জন্য নয় বুঝলাম । তৃণমূলের জন্য কাজ করতে যাওয়া আই প্যাকের কর্মীদের জন্য নয় ? দিল্লী থেকে মমতা ব্যানার্জি কেন বললেন – ত্রিপুরা মে হামারো লোককো…..। কেন বললেন ? কার জন্য বললেন ? পাবলিক বোঝে না । এত বোকা ভাববেন মানুষকে ? ব্রাত্য ?
হ্যাঁ ব্রাত্য, আপনাকে বলছি ব্রাত্য । কান খুলে শুনুন অভিনয় করতে করতে রাজনীতির মঞ্চে এসে যে অভিনয়টা করছেন বড্ড কাঁচা করে ফেলছেন । লোকের হাঁসির খোরাক হচ্ছেন । কাউকে খুশি করতে গিয়ে ভুলে যাচ্ছেন আপনার নামের পাশে আরও দুটো পরিচয় আছে যেখানে লেখা আছে ” নাট্যকার”, ,”অধ্যাপক” । মন্ত্রীর কাছে কোন এক্সপেক্টেশন মানুষের থাকেনা, নেইও । তারা প্রতিনিয়ত মিথ্যে বলেন, না বললে কেউ শিক্ষা দফতরের চাকরি হারিয়ে আট বছর বাদে ফেরত পায় না । কিন্তু অধ্যাপক, নাট্যকারের কাছে মানুষের ছোট ছোট বিশ্বাস গেঁথে থাকে । সেগুলোকেও হেলায় হারাচ্ছেন এক মহিলাকে খুশী রাখতে গিয়ে ! ধিক্, ধিক্ এই আচরণ ব্রাত্য ।
অবশ্য আপনাকেই বা দোষ দিইই কি করে ! একটা চক্ষু লজ্জাহীন সরকার বসে আছে নবান্নে । তারতো আপনি মন্ত্রী । ফলে নিজের আত্ম মর্যাদা নিয়েও আপনি খেলছেন, লোক হাসাচ্ছেন ।
কেন বলছি ? অনেক তথ্য দিতে পারি স্বপক্ষে । শুধু একটি তথ্য দিইই । আজই খবরে প্রকাশ – খোদ সুপ্রিম কোর্ট দিল্লীতে বলছেন – যদি রাজ্য সরকার বলে ২৭ জন শিশু অনাথ হয়েছে আমরা সেটাই নথিবদ্ধ করব । কিন্তু এই পরিসংখ্যান আমরা বিশ্বাস করতে রাজি নই ।
রাজ্যের আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি আরও বলছেন – দায়িত্বজ্ঞান হীন আচরণ করবেন না । অজুহাত দেবেন না ।
যে সময় যে দিনে দিল্লীতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এ কথা বলছেন ঠিক সেই সময় দিল্লীতে বসে মমতা ব্যানার্জি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ “দায়িত্ব” নেওয়ার জন্য আঁকুপাঁকু করছেন ।
প্রশ্ন মমতা কি এসব শুনছেন না ? শুনছেন, সব শুনছেন । কিভাবে সরকার, দলটা কাদের নিয়ে চালাচ্ছেন তাঁর থেকে ভালো কেউ কি জানেন ? নিশ্চয়ই নয় । তিনি নিজেও জানেন প্রায় প্রতিদিন আদালতে তাঁর সরকারের মুখ পুড়ছে । প্রায় প্রতি মিনিটে তাঁর নেতারা প্রতিযোগিতা করে মিথ্যে বলে চলেছেন । যেমন বললেন আজ মলয় কিম্বা ব্রাত্য, প্লেনে করে উড়ে গিয়ে আগরতলায় । এসব দেখে মনে মনে কিন্তু তারিফ করেন নেত্রী নিশ্চিত ।
হয়তো মনে মনে ভাবেনও – এরা শিক্ষার্থী হিসেবে ভালো । আমার থেকেও গুছিয়ে এরা কি সুন্দর মিথ্যে কথাগুলো বলে !
লোকে হাসছে ? হাসুক না । ধরে ফেলছে ? ধরুক না । আমিতো ভোটে জিতেছি । তাই না ?
সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ( ৯৮৩০৪২৬০৭৮)