যাঁদের দায়িত্বানুভূতি থাকে, জীবনে তাঁরাই সফল হতে পারেন। জীবনে দু’টি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, প্রথমত ক্লিন স্লেট এবং দ্বিতীয়ত ক্লিন হার্ট। বর্তমান প্রজন্মকে ক্লিন স্লেট নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ক্লিন হার্ট মানে স্বচ্ছ উদ্দেশ্য। শনিবার পণ্ডিত দীনদয়াল পেট্রোলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, পণ্ডিত দীনদয়াল পেট্রোলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় সমগ্র বিশ্বে নিজের পরিচয় জানান দিচ্ছে, এজন্য আমি ভীষণ খুশি। মুখ্য অতিথি নয়, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমি আজ উপস্থিত হয়েছি। একটা সময় ছিল, যখন বলা হত, এই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় কতদূর পর্যন্ত এগোতে সক্ষম হবে, কিন্তু এখানকার বিদ্যার্থী, অধ্যাপক এবং পেশাদাররা এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ এখন কার্বন ফুটপ্রিন্টকে ৩০-৩৫ শতাংশ পর্যন্ত কম করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে। এই দশকে আমাদের জ্বালানির প্রয়োজনে ন্যাচরাল গ্যাসের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা ভাবুন ১৯২০ সালে যুবসম্প্রদায়ের চাহিদা কি ছিল? তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা কী ছিল? প্রত্যেকেই স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিল, ১৯২০-১৯৪৭ সাল পর্যন্ত যুবসম্প্রদায় নিজেদের সমস্ত কিছু দেশকে দিয়েছিলেন। আমি চাই আপনারা তাঁদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিন। যাঁদের জীবনে দায়িত্বানুভূতি থাকে, তাঁরাই জীবনে সফল হন, জীবনে কিছু করে দেখাতে পারেন। দায়িত্বানুভূতি ব্যক্তিগত জীবনে সুযোগের অনুভূতিও যোগায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জীবনে দু’টি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ-ক্লিন স্লেট এবং ক্লিন হার্ট। বর্তমান প্রজন্মকে ক্লিন স্লেট নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ক্লিন হার্ট মানে স্বচ্ছ উদ্দেশ্য।’ প্রধানমন্ত্রী এদিন জানান, সৌর শক্তি স্কেলে ভারত দ্রুত এগিয়ে চলেছে। সৌর শক্তি দেশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এনার্জি সেক্টরে ভারতে এখন প্রবৃদ্ধি, উদ্যোগ ও চাকরির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। অসম্ভব বলে কিছুই হয় না। পরিবর্তনের জন্য নিয়মিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। নিজের মধ্যে অথবা বিশ্বে পরিবর্তন এক দিনে অথবা এক বছরে হয় না।
2020-11-21