সেনা জঙ্গি সংঘর্ষে শহিদ হলেন একজন সেনা জওয়ান। জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় মঙ্গলবার অর্থাৎ ১২ই অগাষ্টের সকাল থেকেই চলছে এনকাউন্টার। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। এরই মধ্যে খবর এক জঙ্গিকেও নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে।
ভারতীয় সেনার চিনার কর্পসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মঙ্গলবারের গুলির লড়াইয়ে এক সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছেন। তল্লাশি চলছে। একটি একে ৪৭ ও বেশ কয়েকটি গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে আরও বিস্ফোরক। মৃত জঙ্গির পরিচয় প্রকাশ করেছে সেনা। পুলওয়ামার বাসিন্দা আজাদ আহমেদ লোন নামের ওই জঙ্গি হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার বলে জানা গিয়েছে।
উপত্যকা জুড়ে একাধিক সন্ত্রাসমূলক কাজে যুক্ত ছিল সে বলে সেনা সূত্রে খবর। চলতি বছরের ২২শে মে জম্মু কাশ্মীর পুলিশের হেড কনস্টেবল অনুপ সিংকে খুন করার ঘটনার পিছনে এই জঙ্গির হাত ছিল। ২২শে মে পুলিশ ও সিআরপিএফ যৌথ নাকা চালানোর সময় গুলি চালায় জঙ্গিরা।
সেই সংঘর্ষেই মারা যান অনুপ সিং। এদিকে, মঙ্গলবার জম্মু কাশ্মীর পুলিশ, ৫৩ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও সিআরপিএফ যৌথভাবে তল্লাশি চালাতে শুরু করে। ওই এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে, গোপন সূত্রে এই খবর পায় পুলিশ। তারপরেই শুরু হয় তল্লাশি। জি নিউজের এক সূত্র বলছে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালানো হয়।
পুলওয়ামার কামরাজিপোরা এলাকায় চলে গুলির লড়াই। ১২ই অগাষ্ট ভোর ৩টে থেকে ভারি গুলির লড়াই চলছে ওই এলাকায়। গুলির লড়াইয়ে আহত জওয়ানকে প্রথমে শ্রীনগরের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন মারা যান তিনি।
এদিকে, পুলিশ সূত্রে খবর ২০১৯ সালে জুলাই পর্যন্ত খতম করা হয়েছিল ১৩১ জন জঙ্গিকে। কিন্তু জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে নিকেশ করা হয় মাত্র ২৯জনকে। সেই মুহুর্তে জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা দিকে নজর দেওয়ার দরকার ছিল।
তবে ২০১৯ সালে ৬৭টি অপারেশন চালিয়ে ১৬০ জন জঙ্গিকে মারা সম্ভব হয়েছিল। পুলিশের হিসেব বলছে ২০১৯ সালে পাঁচ হাজারেরও বেশি বার এলাকা কর্ডন করে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
২০২০ সালে এখনও পর্যন্ত ১৫০জন জঙ্গিকে নিকেশ করা গিয়েছে। ১৫০ জন জঙ্গির মধ্যে ৩০ জন বহিরাগত ও ১২০ জন স্থানীয় বাসিন্দা। এর মধ্যে রয়েছে ৩৯জন টপ কমান্ডার।