নির্বাচন-পরবর্তী হিংসার ফলে বাংলায় যেসব জিনিসগুলো বিলুপ্তির​ পথে তারমধ্যে একটি হ’ল ‘বাঙালি ভদ্রলোক ‘ নামক কল্পকাহিনী

পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনে যখন তৃণমূল কংগ্রেসের​ অভূতপূর্ব সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রশংসার দাবিদার হয়ে উঠছিল, ঠিক তখনই​ ভোট পরবর্তী হিংসার​ ব‍্যাপকতা রাজ্যের উপর ভীষণভাবে আঘাত হেনেছে।

এই সহিংসতা ইতিমধ্যেই​ দলের ভাবমূর্তিকে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট এবং কলঙ্কিত করেছে​ রাজ‍্য তথা সমগ্র দেশের কাছে।

বিজয়ী তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে বিরোধীদের মনে ভয় তৈরি করার চেষ্টা করেছে তাতে মধ্যযুগীয় হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ এবং একটি বিজয়ী রাজ্যকে নৃশংসভাবে বশীভূত করার নোংরা প্রচেষ্টাকেও হার মানায়।

গণতন্ত্র শুধুমাত্র নির্বাচনে জয়ী দল নিয়ে চলে না, সেখানে বিরোধীদের প্রতি সম্মান এবং প্রতিষ্ঠানের উপর শ্রদ্ধা থাকা একান্ত আবশ্যক।

বাংলার পাশবিক সহিংসতা গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করছে প্রতিনিয়ত। বিরোধী নেতা, কর্মী এবং সমর্থকদের চিহ্নিত করে করে তাদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। জনগণের উপর হামলা চালানো হচ্ছে ধর্মীয় এবং ভাষাগত পরিচয়ের ভিত্তিতে।

ইতিমধ‍্যে ২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমনকি মহিলাদের উপর চলছে ধর্ষণের মতো পাশবিক অত্যাচার।

এই অত‍্যাচার সহ‍্যের সীমা পার করে এমন জায়গায় পৌঁছেছে​ যে, সোশ্যাল মিডিয়ার​ শাসকদল বিরোধী পোস্টকারীদের উপরেও আক্রমণ চালানো হয়েছে। এই তালিকার প্রথম ভুক্তভোগী অভিজিৎ সরকার। তাঁর ফেসবুক লাইভের ঠিক আধ ঘন্টা পরে তাকে হত্যা করা হয়। ঐ লাইভে তিনি তার বাড়িতে তৃণমূলের গুন্ডাদের হাতে পাঁচটি কুকুরছানা মারা যাওয়ার কথা বলেছিলেন।

তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতাকে এই হিংস্রতায়​ সক্রিয়ভাবে মদত দিতে দেখা গেছে। অভিজিৎ এইরকম দুই নেতার নামও বলেছিলেন।

বর্তমানে সারা দেশ হিংস্র উন্মত্ততার​ ঘটনায় রাজ‍্য সরকারের উদাসীনতা দেখে আশ্চর্য হয়েছে এবং রাজ‍্যের আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের দাবিও করেছেন অনেকে।

এদিকে, বাঙালি বোদ্ধাদের ছত্রছায়ায় থাকা ভারতীয় বুদ্ধিজীবী সমাজ বর্তমানে পুরোপুরি নীরবতা​ পালন করছেন।

অমিতাভ ঘোষ, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌশিক বসু, অপর্ণা সেন এবং বিশ্বের বিখ্যাত বাঙালি অমর্ত্য সেনের​ মতো বিশ্ব বিখ্যাত মানুষেরা যাঁরা এতদিন বিভিন্ন নিবন্ধ, সেমিনার, আলোচনা ও বক্তৃতার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে দেশকে সতর্ক করে এসেছিলেন তাদের এখন ঘটে চলা আসল সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে কিছুই বলার নেই।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শ্রী অরবিন্দ, স্বামী বিবেকানন্দ এবং কাজী নজরুলের ভূমি হিসাবে পরিচিত বাংলা এতদিন সমগ্ৰ বিশ্বের কাছে সংস্কৃতি এবং বুদ্ধিমত্তার​ পীঠস্থান হিসাবে প্রসংশিত হত। কিন্তু বর্তমানে এখানে​ তার সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।

রবি ঠাকুর, বঙ্কিম এবং বিবেকানন্দের আদর্শ অনেক আগেই নিষ্প্রাণ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক নির্বাচনে​ ভুল সিদ্ধান্ত এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও​ ভুল পদক্ষেপ রাজ‍্যকে এক শোচনীয় অবস্থার মুখোমুখি করেছে।

“গ্ৰস স্টেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট” (জিএসডিপি)-এর তালিকার একদা শীর্ষে থাকা পশ্চিমবঙ্গ আজ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। মানব উন্নয়ন সূচকে রাজ্যের অবস্থান ২৮ তম স্থানে।

রাজ্যে নগরায়নের হার অত্যন্ত স্বচ্ছ এবং জনসংখ্যার প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ এখনও গ্রামে বাস করে। গত ৫০ বছরে জাতীয় শিল্প ক্ষেত্রে রাজ‍্যের অংশ ছিল ২৪ শতাংশ, যা এখন ৪.৫শতাংশে নেমে এসেছে।

স্পষ্টতই, রাজ্যে পর্যাপ্ত চাকরি নেই। প্রতি বছর, তরুণ শিক্ষিত শ্রেণির একটা বড় অংশ অন্য রাজ্যে পাড়ি জমায়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে কলকাতায় কিছু অঞ্চলের​ সাথে বৃদ্ধাশ্রমের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

দেশের অন‍্যান‍্য রাজ‍্যের মতো স্ব-কর্মসংস্থান প্রকল্প চালু করার মতো অনুদান এই রাজ‍্যও পেয়েছে কিন্তু ২০১৫ সালের কর্মসংস্থান-বেকারত্বের সার্ভে অনুযায়ী, বাংলা তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্ৰহন করার দিকে কোনও আগ্রহ প্রকাশ করেনি। শুধুমাত্র​ প্রাথমিক স্তরে স্কুল ছাড়ার বিষয়ে বিহারের চেয়ে বেশ ভাল জায়গায় রয়েছে বাংলা।

সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রনালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গে ভিখারির​ সংখ্যা সবচেয়ে বেশী।

রাজ্যে মহিলাদের উপর হওয়া অপরাধের হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে। শিশু ও মহিলা পাচারে বাংলা আজ এক নম্বরে।

রাজনৈতিক সহিংসতা এবং রাজ্য, একে অপরের সমার্থক হয়ে উঠেছে। ধর্না, ঘেরাও, সংঘাত, হিংসাত্মক বিক্ষোভ, নির্বাচনী সহিংসতা এবং জনগণের উপর স্থায়ী আগ্রাসন, এসমস্ত কিছুই আবারও চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করে যে বাংলা দীর্ঘকাল ধরেই হতাশা ও ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে।

এককালে এই রাজ্য সম্পর্কে, “বাঙ্গলা যা আজ ভাবছে, ভারত তা আগামীকাল ভাববে” এইধরনের মতবাদ চালু ছিল, কিন্তু এখন সেই গরিমার জায়গা থেকে রাজ্য অনেক অনেক দূরে চলে এসেছে।

রাজ‍্যের রাজনীতির হিংসা এবং দমবন্ধ করা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পিছনে অনেক কারণ রয়েছে।

যদিও​ কমিউনিস্ট ডিসস্টোপিয়া, মুসলিম তোষন এবং জনসংখ্যার পরিবর্তন প্রধান কয়েকটি কারণ হিসাবে বলা যায়, তবে অহংকারী বুদ্ধিজীবী সমাজও কিন্তু আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

আধ্যাত্মিকতা থেকে সম্পূর্ণ সরে গিয়ে নবজাগরণ, আমদানীকরা আদর্শে আত্মসমর্পণ এবং বৌদ্ধিক শ্রেষ্ঠত্বের অহংকার নিয়ে বাংলা একটি অহংকারী শ্রেণীর জন্ম দিয়েছে যাঁরা নিজেদের সেরিব্রাল, আর্ট প্রেমী এবং বিশ্বসাহিত্যের সাথে পরিচিত, উদার এবং প্রগতিশীল বলে মনে করেন। তবে এই জাতীয় সমস্ত প্রতিবাদী চরিত্রগুলির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাঁরা সবসময়ই প্রকৃত সমস্যার থেকে পালানোর পথ খোঁজেন। আর্থ-সামাজিক দিক থেকে রাজ‍্যের পিছিয়ে পড়া বা শহরের অন‍্যান‍্য সমস্যাগুলি কখনই তাদের উদ্বেগের বিষয়বস্তু হয়ে উঠতে পারেনি।

সম্প্রতি একজন শীর্ষস্থানীয় অনাবাসী বাঙালীকে কলকাতার জরাজীর্ণ ও ভেঙে পড়া ভবনের ছবি দেখে অবাক হতে দেখা গেছে। যদিও এটা শহরের একটা​ দুঃখজনক পরিস্থিতি কিন্তু এইসব “এলিট ক্লাস”-এর কাছে এটাই আবার নস্টালজিয়া।

তথাকথিত আভিজাত‍্য, বংশমর্যাদায় গৌরবান্বিত এই উচ্চবিত্তের শ্রেণীর মানুষেরা নিজেদের “ভদ্রলোক” হিসাবে পরিচয় দেন, যেন তাদের গোষ্ঠীর বাইরে থাকা সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রেণীর মানুষ “অভদ্রলোক” পর্যায়ের​ অন্তর্ভুক্ত।

বাংলাকে গঠনমূলক বা উন্নয়নমূলক কিছু দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এই ‘আলোকিত’ শ্রেণি কেবল বাংলাই নয়, গোটা ভারতবর্ষের নৈতিক অভিভাবকত্বের দাবিদার হিসেবে নিজেদের জাহির করেন।

সাধারণ বাঙালিরা কেন এই বিশেষ শ্রেণীর মানুষদের আঁতেল বা ভন্ড বুদ্ধিজীবী কেন বলে সেটা আশা করি অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই।

‘ভদ্রলোকদের’ অগ্ৰগন‍্যতা তাদের সিনেমায় সবচেয়ে ভালোভাবে​ প্রকাশিত হয়। সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক এবং মৃণাল সেনের সিনেমার প্রায় সব চরিত্রই মোটামুটি ৭০-এর দশকের​ চাকরির সন্ধানে হন‍্যে হয়ে ঘোরা বেকার যুবক।

তবুও ঐ সময়ের​ বুদ্ধিজীবীদের​ কাছে কর্মসংস্থান এবং বেকারত্বের​ মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠোর বাস্তবধর্মী বিষয়গুলো​ কিছুটা হলেও গুরুত্ব পেয়েছিল। কিন্তু বর্তমান “ভদ্রলোক”-দের কাছ থেকে এই বিষয় নিয়ে কিছু শুনতে চাওয়াটাই যেন অন‍্যায়।

পরিবর্তে, বাংলা সিনেমায় এখন ইটালিয়ান মাস্টারদের নব্য-বাস্তবসম্মত উচ্চতায় পৌঁছানোটাই আসল রসবোধ বলে বিবেচিত হচ্ছে।

ভদ্রলোক খুশী হয়েছিলেন এটা দেখে যে, এই সিনেমাগুলিতে ক্ষয়িষ্ণু, সঙ্কুচিত সমাজের বাস্তবতা চিত্রিত হয়েছে এবং শুধু তাই নয় এইসব সিনেমা মস্কো, বার্লিন এবং ভেনিসের​ মতো জায়গায় উচ্চপ্রশংসিত হয়ে পুরষ্কৃত হচ্ছে। যদিও কর্মসংস্থান তৈরী করতে চাওয়া শিল্পপতি বাংলায় প্রকাশ‍্যে যে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন তাতে তিনি অত্যন্ত লজ্জিত ছিলেন।

কফি হাউসের আড্ডায় ঝড় তোলার জন্য “সরি স্টেট অফ অ‍্যাফেয়ারস্” বুদ্ধিজীবীদের একটা মনমতো টপিক বলা যেতে পারে। আর এই বিষয়ে আলোচনা​ করে নিজেদের আরও বেশী করে বিদ‍্যান প্রমাণ করাটা একপ্রকার কৌশল বলা চলে।

‘সরি স্টেট অফ অ‍্যাফেয়ারস্” এর উৎসটিও এতোটাই দূরত্বে ছিল যে এইসব সমালোচনা কখনো তার ফলাফল হয়ে উঠতে পারেনি।

তবুও এটা অনেকটা ‘চা’ এবং সিগারেটের মতো শক্তিশালী এবং অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, যা ছাড়া জীবন চালানো অসম্ভব। বানিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির​ মতো বিষয়গুলো থেকে শতহস্ত দূরে থাকা ‘ভদ্রলোকদের আড্ডার’ হট টপিক হয়ে ওঠে মার্কস, মাও, চমক্সিদের কর্মকাণ্ড।

যদিও তাদের নিজস্ব সমাজে এই মূল্যবোধগুলির প্রাসঙ্গিকতা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে, তবুও ‘ভদ্রলোক’ শ্রেণী সম্ভবত তাঁদের অনুপ্রেরণায় বিপ্লবী​ মনোভাব নিয়ে বসে রয়েছেন।

রাজ‍্যের ক্রমবর্ধমান দুর্দশার বিষয়ে আলোকপাত করার মতো কঠিন বিষয়গুলিকে​ নিজেদের পছন্দ তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ভদ্রজনরা মেতে উঠেছেন বহিরাগত অর্থাৎ অবাঙালিদের​ সমালোচনায় এবং তাদের মধ্যে শত্রু খুঁজে বের করার খেলায়। প্রথমে কম্যুনিস্ট এবং পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়— ভদ্রলোকরা সবসময়ই সহিংসতায় বলিষ্ঠ দলকে সমর্থন করেন। কমিউনিস্টরা যখন বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতেন, ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ বামপন্থীদের সমর্থন করতেন। তারপর যখন ব্যানার্জির তৃণমূল রাজ্যে কমিউনিস্টদের​ ঘাঁটিতে​ ভাঙন ধরালো, তখন পত্রিকাটি মাননীয়াকে সমর্থন করতে মাঠে নেমে পড়েন।

ভদ্রলোকদের নৈতিকতাবোধ ভীষনই গভীর ও নিষ্ঠুর এবং তার সাথে মিশে রয়েছে দলীয় আনুগত্য। হয়তো এইজন্যই অন্য দলের সদস্যদের হত্যার মতো মর্মান্তিক ঘটনায় তার বিবেক এতটুকুও কাঁপছে না, এমনকি তারা প্রায় সবাই “দরিদ্র বাঙালি পরিবার” এই কথা জানার পরেও।

এ কারণেই অপর্ণা সেনের মতো মানুষ নির্লজ্জভাবে ভোট-পরবর্তী সহিংসতাকে একটি সাধারণ বাঙালি ঘটনা হিসাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বাংলা চলচ্চিত্র জগতের কিছু শিল্পী প্রাক-নির্বাচনী প্রচারের সময় গানের মাধ্যমে ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।

গানের প্রতিপাদ্যটি ছিল তাঁরা সমাজে কুৎসা ও অনৈতিকতা ঘেঁষতে দেবেন না। তবে নির্বাচনের পরে প্রথম যে ঘটনাটি ঘটেছিল তা হ’ল সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এবং নৈতিকতার বুলি আওড়ানো দলের শিল্পীরাই​ আবার নিজের দল ছেড়ে আসতে চেয়েছিলেন।

গরিব ও পিছিয়ে পড়া বাঙালিরা এখন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তবুও এই শিল্পীদের কেউই হিংস্রতার বিরুদ্ধে নিন্দা করা তো দূর একফোঁটা দু:খ প্রকাশ পর্যন্ত করেননি।

এমনকি পরমব্রত চ্যাটার্জীর​ মতো একজন প্রথম সারির অভিনেতা এই দিনটিকে ‘রগড়ানোর দিন’ হিসাবে আখ্যায়িত করছিলেন। দুর্বল আদর্শের​ সমর্থনকারীরা এইভাবে ধীরে ধীরে পুরো রাজ‍্যকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে আর এই তথাকথিত ভদ্রলোক শ্রেণী সহিংসতার বিরুদ্ধে নীরব থেকে তাতে চুপচাপ শীলমোহর দিয়ে যাচ্ছেন​।

বাঙালি ভদ্রলোকদের কল্পকাহিনী সর্বকালের জন্য খোদায় হয়ে রইলো। বাংলায় আর কোথাও এরকম কোনও শ্রেণি নেই। এটা সর্বোপরি আঞ্চলিক উগ্ৰ জাতীয়তাবাদীদের একটি সংগঠন যারা অন্যদের দিকে আঙুল তোলার সময় খেয়াল করেনা যে বাকি চারটি আঙুল তাদের দিকেই​ ঘুরে আছে।

বিকাশ সারস্বত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.