পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকে ঠিক কতজন জঙ্গি নিহত হয়েছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব জুড়ে বিতর্ক। পাকিস্তান প্রথম থেকেই কোন ক্ষয়ক্ষতি মানতে চায়নি। ভারতবর্ষের বিরোধীদের মুখেও সেই একই কথা উঠে আসায় বিতর্ক জোরালো হতে শুরু করেছে। কিন্তু ইতালির সাংবাদিক ফ্রানচেস্কো মারিনোর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ফার্স্ট সোর্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় বায়ুসেনার হামলায় নিহত হয়েছেন বহু মানুষ। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে তার মধ্যে অনেকেই ছিলেন আই এস আই এর কর্নেল। এছাড়া ওই মৃতদের তালিকায় রয়েছে এক ঝাঁক জঙ্গি।
কিন্তু বিমান হানার ১ ঘন্টার মধ্যেই সেখান থেকেই মৃতদেহগুলি সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানতে পেরেছেন ইতালির ওই সাংবাদিক। সেনার ভয়ে স্থানীয়রা সামনাসামনি কেউ মুখ খুলতে চাননি। গোপনে ফ্রানচেস্কো জানতে পারেন এই তথ্য। তিনি লিখেছেন অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহগুলি তাড়াতাড়ি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ফার্স্ট সোর্সের প্রতিবেদন বলছে অভিযানের পরে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তারা সেখানে যান। গোটা এলাকা ঘিরে ধরে পাকসেনা। এমন কি পাক পুলিশও ওই ঘটনাস্থলে ঢুকতে পারেনি। প্রমাণ লোপাটের জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে পাক সেনাবাহিনী। অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দেহগুলি। যাতে কোন প্রমাণ না থাকে সে কারণে এম্বুলেন্স এর মধ্যে যে মেডিকেল স্টাফরা ছিলেন তাদের মোবাইল পর্যন্ত নিয়ে নিয়েছিল পাক সেনা। কারণ ওই মোবাইল দিয়ে যদি ছবি তুলে রাখা হতো ফাঁস হয়ে যেতে পারতো তাদের পরিকল্পনা।
ইতালির এআ সাংবাদিক দক্ষিণ এশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা কভার করেন।২০১০ সালে ইতালিয়ান সাংবাদিকতা শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়াওএকটি অনলাইন পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব সামলান তিনি। সাংবাদিক ফ্রানচেস্কোর দাবি ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন,কর্নেল সেলিম ও কর্নেল উসমান ধানি নাম রয়েছেন নিহতদের তালিকায়। এছাড়া আরো পাঁচজন নিহত জঙ্গি ও আই এস আই এর এজেন্ট এর নাম জানাচ্ছে ‘র’। কিন্তু ওই জায়গায় আরো কুড়ি জনের মৃত্যু হয়েছে বললে পাকা খবর রয়েছে ‘র’ এর কাছে।
‘র’ তথ্য পেয়েছে যে জৈশের জঙ্গি প্রশিক্ষকদের পুলওয়ামা ঘটনার পরই এই এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় আই এ আই এস আই এর মাধ্যমে। কারণ পাক গুপ্তচর সংস্থার কাছে খবর ছিল ভারতীয় সেনা স্ট্রাইক করতে পারে। এর আগেও ভারতীয় সেনার হামলার আশঙ্কায় পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে জঙ্গি তথা জঙ্গি শিবির সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তার প্রমাণ পাওয়া গেছে আগেও।