গতকাল ৫ই জানুয়ারি রক্তাক্ত হয়েছিল জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। বাম ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ বিজেপি আর সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠনের (ABVP) ছাত্ররা মুখে কাপড় বেঁধে এসে তাঁদের ব্যাপক ভাবে মারধর করে। ABVP এর করা এই আক্রমণে বাম ছাত্র নেত্রী ঐশী ঘোষের মাথা ফেটে যায়। আরেকদিকে ABVP আর বামেদের এই সংঘর্ষে অনেক ABVP এর ছাত্ররা আহত হন।
সিএএ এর পর এবার JNU নিয়ে আবারও দেশ জুড়ে প্রতিবাদে নামতে চলেছে বামেরা। তাঁরা সরাসরি বিজেপি এবং কেন্দ্র সরকারের উপর অভিযোগ এনে বলেছে যে, কেন্দ্র থেকে ছাত্রদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিজেপি গোটা দেশে অগণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ বামেদের।
কিন্তু একদিন আগে ৪ঠা জানুয়ারি বাম ছাত্র সংগঠনের কয়েকজন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ওয়াই ফাই পরিষেবা চালু করতে যাওয়া এক নিরীহ সিকিউরিটি গার্ডকে ধরে মারধর করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার সকালে একটি নিরপত্তা রক্ষীকে মারধর করা হয় জেএনইউতে। সুত্র অনুযায়ী, ওই নিরাপত্তা রক্ষী ছাত্রদের দ্বারা বন্ধ করা ওয়াই ফাই পরিসেবা চালু করার চেষ্টা করছিলেন, আর সেই কারণেই ছাত্ররা অহেতুক ওই নিরাপত্তা রক্ষীকে মারধর করে।
গত শুক্রবার JNU ছাত্ররা মাস্ক লাগিয়ে ইনফরমেশন সেন্টারে ঢুকে পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ করে দিয়েছিল, আর সেই কারণেই ওয়াই ফাই পরিসেবা বন্ধ হয়ে যায়। সেই বন্ধ হয়ে যাওয়া পরিসেবা চালু করতে গেলেই নিরাপত্তা রক্ষীকে মারধর করে JNU এর ছাত্ররা। সুত্র অনুযায়ী, ওই ছাত্ররা দুপুর একটা নাগাদ মাস্ক পড়ে জোর জবরদস্তি ইনফরমেশন সেন্টারে ঢুকে পড়ে। এরপর তাঁরা টেকনোলোজি স্টাফকে সেখান থেকে বের করে দেয়। ওই ছাত্ররা ইনফরমেশনাল সেন্টার দফতরে তালা ঝুলিয়ে দেয়, আর অফিসের বাইরে ধরনায় বসে পড়ে। JNU প্রশাসন জানিয়েছিল যে, ছাত্রদের এই কাজের ফলে সমস্ত রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।