অন্যতম প্রমুখ রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লা খুন হলো বাংলাদেশের কক্সবাজারে। নিজের পাড়াতেই তাকে গুলি করে খুন করে আততায়ীরা।
মহিবুল্লাকে খুন করা হয় কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালংগ শরণার্থী ক্যাম্পে। সে ছিল আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউমান রাইটসের চেয়ারম্যান। এদিকে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বরাবরই অভিযোগ রোহিঙ্গিয়াদের পুনর্বাসনের অজুহাতে সরকার প্রচুর বিদেশী মুদ্রা উপার্জন করে।
প্রসঙ্গত , খুব সম্প্রতি মহিবুল্লা ছাড়াও আরো দুই রোহিঙ্গা খুন হয়েছেন ওই একই জায়গায় , অর্থাৎ গত ১০ দিনে মোট তিন জন রোহিঙ্গা খুন হয়।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের তরফে সরকারি ভাবে কিছু না বলা হলেও পুলিশ এই খুনের পেছনে কোনো বৌদ্ধ সংগঠনের উপর দশ চাপাতে চাইছে।
এদিকে রোহিঙ্গাদের তরফে অভিযোগের তীর উঠেছে খোদ বাংলাদেশে সরকারের দিকেই।রোহিঙ্গাদের বক্তব্য এই পর পর রোহিঙ্গা খুনের পিছনে আছে বাংলাদেশের গুপ্তচর সংস্থা ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (Director General of Forces Intelligence or D G F I )।
কিছুদিন আগেই নিহত রোহিঙ্গা নেতা খোলাখুলিই বলেছিলেন যে রোহিঙ্গিয়া শরণার্থীদের পুনর্বাসন ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য পশ্চিমীদেশ গুলির কাছ থেকে যথেষ্ট অর্থ সাহায্য পাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার , কিন্তু সেই টাকা অন্য খাতে ব্যয় করছে সরকার। এখন প্রশ্ন , তাহলে কি এরই মাসুল দিতে হলো মহিবুল্লাকে ? এই ধারণা অমূলক নয় কারণ এর আগেও সরকারের নির্দেশে অনেক রোহিঙ্গিয়া নেতাকে বিভিন্ন সময়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।