“বিহারে ফের একবার এনডিএ সরকার“। জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণও করলেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার বিহারের সাসারামের বিয়াদা ময়দানে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এটাই প্রধানমন্ত্রী প্রথম জনসভা। এদিন বক্তব্য রাখার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি দু’জন সুপুত্রকে হারিয়েছে বিহার, যাঁরা কয়েক দশক ধরে বিহারের জনগণের সেবা করেছেন। আমার অত্যন্ত কাছের বন্ধু এবং গরিব, দলিতদের জন্য নিজেদের নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেওয়া রামবিলাস পাসোয়ানজিকে আমার অন্তরের শ্রদ্ধাঞ্জলি। রঘুবংশ প্রসাদজিও গরিবদের প্রগতির জন্য নিরন্তর করেছেন। তাঁকেও আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বড় লড়াইয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই করার জন্য বিহারের জনগণকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। করোনার থেকে বাঁচানোর জন্য যেভাবে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বিহারের জনগণ যেভাবে কাজ করেছেন, তার ফলাফল এখন দেখা যাচ্ছে। বিশ্বের বড় বড় ধনী দেশের কী পরিস্থিতি, তা কারও কাছে অজানা নয়। বিহারে যদি দ্রুততার সঙ্গে কাজ না হতো, তাহলে কী যে হত, তা কল্পনা করাও সম্ভব নয়!
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যতগুলি সমীক্ষা হচ্ছে, যতগুলি রিপোর্ট আসছে, প্রতিটিতেই বলা হচ্ছে, বিহারে ফের একবার, এনডিএ সরকার। বিহারের জওয়ান গালওয়ান উপত্যকায় শহিদ হয়েছেন, কিন্তু ভারত মাতার মাথা নত হতে দেননি। পুলওয়ামা হামলাতেও বিহারের জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন, তাঁদের আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি। প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, বিহারের জনগণ সেই দিন কখনও ভুলতে পারবেন না, যখন সূর্য অস্ত যাওয়ার অর্থ ছিল সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়া। এখন বিদ্যুৎ রয়েছে, সড়ক রয়েছে, লাইট রয়েছে, সবথেকে বড় বিষয় হল এমন পরিবেশ, যেই পরিবেশে রাজ্যের মানুষ নির্ভয়ে বাঁচতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে সড়কার গঠনের পর, যতদিন বিহারে ডাবল ইঞ্জিনের শক্তি মিলেছে, রাজ্যের প্রগতির জন্য অনেক বেশি কাজ হয়েছে। দরিদ্ররা যাতে ভালোভাবে দীপাবলি এবং ছট পুজো উদযাপন করতে পারেন সে জন্য বিনামূল্যে খাদ্য দেওয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মান্ডি এবং এমএসপি তো অজুহাত, আসলে দালাল এবং মধ্যস্থতাকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যখন কৃষকদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়া কাজ শুরু হয়, তখন এঁরাই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। যখন রাফাল বিমান কেনা হয়েছিল, তখনও
মধ্যস্থতাকারী এবং দালালদের ভাষায় কথা বলেছিল। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বছরের পর বছর ধরে ৩৭০ ধারা অপসারণের অপেক্ষায় ছিল দেশ। এই সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি, এনডিএ সরকার নিয়েছে। কিন্তু, এখন তাঁরা বলছে ৩৭০ ধারা ফের প্রয়োগ করা হবে। বিহারের পুণ্যভূমি থেকে এঁদের আমি বলে দিতে চাই, দেশ নিজ সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হবে না।