উপত্যকায় ৩৭০ ধারা রদের ঠিক আগে বিপুল সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরে। তারপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ধীরে ধীরে বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হয় অন্যত্র। সেই ধাঁচেই ফের আরও একবার বিপুল সেনা সমাবেশ করা হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরে। কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় স্থানীয়রা।
যদিও এই সেনা সমাবেশের ঘটনাকে রুটিন প্রক্রিয়া বলে উল্লেখ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের শীর্ষকর্তা আইজি বিজয় কুমার বলেন, ‘নির্বাচনের পর রাজ্যগুলি থেকে সেনারা ফিরছেন। নতুন করে কোনও সেনা সমাবেশ হচ্ছে না’। অর্থাৎ বিগত বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্য রাজ্যেগুলিতে ২০০ কোম্পানি আধাসেনাকে ইলেকশন ডিউটিতে পাঠানো হয়েছিল। আগে ৫০ কোম্পানি ফিরে এসেছে। এবার বাকিরা ফের উপত্যকায় ফিরছে।
কিন্তু প্রশাসনের এই আশ্বাসবাণী মানতে নারাজ স্থানীয় রাজনীতিবিদরা। ফের তাঁদের আটক করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের অন্য কোনও পরিকল্পনা আছে কিনা, তা বুঝতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালাচ্ছেন তাঁরা। হুরিয়ত-সহ কাশ্মীরি রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র আরও কড়া কোনও পদক্ষেপ করতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।
তবে বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, সেনা সমাবেশের নেপথ্যে অন্য কারণ রয়েছে। তাঁরা মনে করছেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ফলে কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়তে পারে। তাই আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্র। সন্ত্রাস জর্জরিত দক্ষিণ কাশ্মীরের জেলাগুলিতে বৃহৎ সংখ্যক সেনা মোতায়েনই তার প্রমাণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাছাড়া পাকিস্তান ও চিনের দূরভিসন্ধির কথা মাথায় রেখেও সেনা সমাবেশ বাড়ানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।