হাওড়ার শিবপুরে বোটানিক্যাল গার্ডেনে এখন সময়ের সঙ্গে লড়াই করছেন বিজ্ঞানীরা। দেশের একমাত্র জোড়া নারকেল গাছটি বাঁচানোর চেষ্টায় রাতদিন এক করে চলছে গবেষণা। ১২৫ বছরের এই গাছটি মারা গেলে এই দেশে আর একটিও জোড়া নারকেল গাছ থাকবে না। ২৩২ বছরের পুরনো আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস বোটানিক্যাল গার্ডেনে জোড়া নারকেল গাছ বসিয়েছিল ব্রিটিশরা। এই গাছ একমাত্র সেশেলস-এর দুটি দ্বীপে দেখা যায়। সেখানে থেকে এনে শিবপুর ছাড়াও শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডে বসানো হয়েছিল আরও দুটি গাছ। এই গাছে বিশ্বের সমগ্র উদ্ভিদ প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বড় ফল আর পাতা ফলে।
এক একটি ফলের ওজন ২৫ কেজি পর্যন্ত হয়।
এই গাছ সাধারণত ১২০০ বছর পর্যন্ত বাঁচলেও নিজের স্বাভাবিক পরিবেশ থেকে দূরে থাকায় এর মৃত্যু আরও অনেক আগেই হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের আশঙ্কাকে সত্যি করেই কিছুদিন ধরে আর নতুন কোনও পাতা গজায়নি এখানে এবং বর্তমান পাতাগুলোও সব হলুদ হয়ে আসছে।
গাছটির যখন ৯৪ বছর বয়স তখন এখানে ফুল দেখা যায়। তার থেকেই বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন যে এটি স্ত্রী গাছ। থাইল্যান্ডের পুরুষ গাছের থেকে রেনু এনে নিষেক ঘটানো হয়।
২০১৩-য় এই গাছে প্রথম ফল ফলতে শুরু করে। কোনও ফলেরই বয়স ছয় বছরের বেশি হয়নি। অন্তত আরও এক বছর না গেলে ফল পরিণত হবে না।
ফল পরিণত হলে তবেই সেই ফল পুঁতে আবার জোড়া নারকেল গাছে এখানে সৃষ্টি করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু আরও এক বছর গাছটি বাঁচবে কিনা, সেই আশঙ্কাতেই রয়েছেন তাঁরা। ফল পরিণত হওয়ার আগেই গাছ মারা গেলে ভারতে আর একটিও জোড়া নারকেল গাছ থাকবে না।
তথ্যসূত্রঃ- এই সময়
ভূগোলিকা Bhugolika