এদিন ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের শুরুতেই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করে তাঁদের উদ্দেশে সম্মান জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানেই এদিন তিনি সম্মান জানান দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে। পাশাপাশি তাঁর গলায় ছিল নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, মাতঙ্গিনী হাজরা সহ বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীকে। পাশাপাশি করোনা যোদ্ধাদের শ্রদ্ধাদের জানান প্রধানমন্ত্রী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের দিনে আমি আপামর ভারতবাসী এবং বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র প্রেমীদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দেশের জন্য নিজেদের প্রাণ উত্সর্গ করা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি আমি সম্মান জানাই। গান্ধীজি হোক কি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, ভগত সিং, মাতঙ্গিনী হাজরা, রানি ঝাঁসি সবাইকে সম্মান জানাই। আমি সম্মান জানাতে চাই দেশের পরথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সর্দার প্যাটেলকে।’
মোদী বলেন, ‘দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, সর্দার পটেলের কারণেই ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছে ভারত। ভারতকে ভবিষ্যতের পথ দেখিয়েছেন বাবাসাহেব অম্বেদকর। আজ তাঁদের প্রত্যেককে স্মরণ করছে গোটা দেশ। তাঁদের কাছে চিরকাল ঋণী থাকবে ভারতবাসী।’
লাল কেল্লায় আমন্ত্রিত অলিম্পিয়ানদের উদ্দেশে তালি বাজিয়ে সম্মান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি যুব সমাজকেও সম্মান জানালেন মোদী। তিনি বলেন, ‘অলিম্পিয়ানরা শুধু আমাদের মন জয় করেননি, তাঁরা পরবর্তী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করেছেন।’ এদিকে দেশভাগের বেদনার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসের পর খুব শীঘ্রই আমরা অনেকের বলিদান ভুলেছি। সকল ভারতবাসীর তরফ থেকে তাঁধের বিনম্র শর্দ্ধা জ্ঞাপন। এখন থেকে প্রতিবছর ১৪ অগস্ট ভারতে বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস পালিত হবে।’
এদিকে এদিন ভারতের কোভিড যুদ্ধকে কুর্নিশ জানিয়ে মোদী বলেন, ‘গোটা বিশ্বের সব থেকে বড় টিকাকরণ প্রকল্প চলছে ভারতে। কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে টিকাকরণের ডিজিটাল শংসাপত্র দেওয়ার বিষয়টি বিশ্বের অন্য দেশগুলিকেও আকর্ষিত করছে। ভারত নিজের টিকা বানিয়ে বড় সঙ্কট থেকে নিজেকে রক্ষা পেয়েছে। তা না হলে এই পরিস্থিতিতে টিকা পাওয়া যেত, কি যেত না, কার উপর ভরসা করা যেত, তা বলা কঠিন হত।’