৬ ই অক্টোবর ছিল ‘ভারতীয় কিষাণ সংঘ’ ও রাজ্যের কৃষকের জন্য একটি আনন্দের দিন। এদিন কলকাতার কেশব ভবনে ভারতীয় কিষাণ সংঘের পশ্চিমবঙ্গ শাখার দ্বারা ‘ভারতীয় কিষাণ বার্তা’-র পঞ্চম সংখ্যা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হল।
কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় কিষাণ সংঘের পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের সভাপতি ও অখিল ভারতীয় কার্যকারিণী সদস্য কল্যাণ কুমার মন্ডল,পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ পাহাড়ি, পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের সংগঠন সম্পাদক অনিল চন্দ্র রায়,পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের প্রচার-প্রমুখ ড. কল্যাণ জানা,ভারতীয় কিষাণ সংঘের ‘পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব’ ক্ষেত্রের সংগঠন সম্পাদক শ্রীনিবাস এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত-প্রচারক প্রশান্ত কুমার ভট্ট।
প্রস্তুত সংখ্যায় ভারতীয় কিষাণ বার্তার নিবন্ধগুলিতে আধুনিক কৃষি কৌশল সম্পর্কে অনেক তথ্য সন্নিবিষ্ট হয়েছে এবং সনাতনী কৃষি পদ্ধতির প্রাচীন রূপ-লাবণ্যকেও একত্রিত করা হয়েছে। পঞ্চম সংখ্যার মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়েছে ভগবান বলরামের প্রতি শ্রদ্ধা, যাকে আমাদের কৃষকরা ‘কৃষির ঈশ্বর’ বলে মনে করেন। তিনি হলধর (অর্থাৎ যিনি লাঙল তোলেন)। মহাভারতের ‘হরিবংশ পর্ব’-এ উল্লেখ রয়েছে যে তিনি কৃষিকাজ পুনরায় শুরু করার জন্য কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ ছেড়েছিলেন। কারণ তিনি অনুভব করেছিলেন যে মহাযুদ্ধের প্রেক্ষিতে ক্ষুধা ও অনাহার থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে হবে। কিষাণ বার্তার এই সংস্করণটি ভগবান বলরাম জয়ন্তীর উপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে।
সমালোচকদের মতে, এই সংখ্যার আনুষ্ঠানিক সূচনা হতে কিছুটা বিলম্ব ঘটেছে। তবে বেশিরভাগ কর্মকর্তা পত্রিকাটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। অনেক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, সমাজকর্মী এবং উদ্যান ও কৃষি ক্ষেত্রের কৃতি ছাত্র এবং গবেষকরা তাদের নিজস্ব ঘরানার কাজ এবং অভিজ্ঞতা-সঞ্জাত মতামত প্রকাশের জন্য কলম ধরেছেন।
এদিন মা ভারতীর সামনে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পত্রিকার উদ্বোধন করা হয়। কেশব ভবনের সভামঞ্চের চারপাশে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান প্রতিধ্বনিত হয়। ‘ভারতীয় কিষাণ বার্তা’র সম্পাদক মিলন খামারিয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। পত্রিকা বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন – কৃষি প্রযুক্তিকে চাষের জমিতে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। সংঘের এক একজন সদস্য এক্ষেত্রে ভগীরথের ভূমিকা পালন করবে। ‘ভারতীয় কিষাণ সংঘ’ কৃষকদের জন্য কাজ ক’রে, আদ্যন্ত একটি অরাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। কিষাণ বার্তায় প্রকাশিত বিষয়গুলি দেশীয় চাষাবাদের অনুশীলনে এবং কৃষি মানসিকতার পুনরুদ্ধারের দিকে মনোনিবেশ করাবে। কৃষক এবং কৃষির সাথে যুক্ত মানুষের ক্ষমতায়ন করবে। শ্রী খামারিয়া আরও বলেন, “জৈব চাষের উপর আরো বেশি গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারতীয় কৃষি পদ্ধতির প্রাচীন অথচ কার্যকরী দিকগুলি আমাদের আজ তুলে ধরতে হবে – যা কম খরচের, যা টেঁকসই এবং পরিবেশবান্ধব।”
কুড়ি পৃষ্ঠার এই পত্রিকার মূল্য রাখা হয়েছে মাত্র ১০ টাকা। এটি কলকাতার সম্পাদকীয় বিভাগে পাওয়া যাচ্ছে। বিভাগীয় ঠিকানা হচ্ছে 578, ভি.আই.পি. নগর, কলকাতা-700100, এ-ছাড়া ভারতীয় কিষাণ সংঘের প্রতিটি জেলা সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের কাছ থেকেও পত্রিকা পাওয়া যাবে। পত্রিকায় প্রাপ্তিস্থান ও যোগাযোগের সূত্র দেওয়া আছে।
পত্রিকা সম্পাদক মিলন খামারিয়া জানিয়েছেন, “আমরা কৃষকদের জন্য ২৮ দফা জানিয়েছি যা আমাদের পত্রিকাতে উল্লিখিত আছে, কৃষকরা যাতে তাদের ন্যায্য প্রাপ্য পান তার ব্যবস্থা সরকারকে করতেই হবে।” কিষাণ সংঘের রাজ্য সভাপতি কল্যাণ কুমার মণ্ডলও বলেন যে,” কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের উপর লাভকারী মূল্য দিতেই হবে।তার জন্য ভারতীয় কিষাণ সংঘ লড়াই শুরু করেছে।আমাদের দাবি না মানলে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবো।”
Another great day for Bharatiya Kisaan Sangh. It was 6th October 2022. The fifth issue of ‘Bharatiya Kisan Barta’ was officially launched by West Bengal wing of Bharatiya Kisan Sangh at Keshav Bhavan, Kolkata.
Sri Kalyan Kumar Mandal, President of Bengal Prant and All India Executive Member of B.K.S; Sri Animesh Pahari, General Secretary; Sri Anil Chandra Roy, Organizational Secretary; Srinivasji, Regional Organizational Secretary of Eastern and North-East of Bharatiya Kisan Sangh; Sri Prashant Kumar Bhatt, Dakshin Banga Prant-Pracharak of Rashtriya Swayamsevak Sangh, Sri Milan Khamaria, Editor and Dr. Kalyan Jana, Prant Prachar Pramukh were present on the occasion.
The Bharatiya Kisaan Vaarta consisted of chapters which included many information about the modern-day Agricultural techniques and amalgamated it with ancient form of indigenous, agricultural practices.
It was a tribute to Bhagwan Balaram whom our farmers consider as the God of Agriculture. He is the Haal-dhar (one who picks up the plough). Legend has it in the Harivamsa Parv of the Mahabharata that he left the Kurukshetra war to resume farming, as he felt no one should die of hunger and starvation.
Thus, this edition of Kisaan Vaartaa was based on Balaram Jayanti. Critics say that the formal launch of this edition was a bit late. However, most of the Karyakartas welcomed this issue with a warm heart and open arms. Many eminent scientists, social workers and sincere students and researchers in the field of horticulture and agriculture lead their pen to articulate their views on their own domain and years of experience.
The official launch was formally inaugurated by hoisting flag in front of Ma Bharati. Chants of “Bharat Mata ki Jay” echoed around the hall room of Keshav Bhawan. All the formalities were conducted by Milan Khamaria, editor of the Bharatiya Kisaan Vaarta. When he was asked about the views on this issue, he responded in a delightful manner highlighting all the achievements made by the whole team of Bharatiya Kisaan Sangh, an apolitical and social organization working for Bharatiya Kisaan i.e Indian farmers. He also told that further issues of the Kisaan Vaarta will focus on retrieving the indigenous cultivation practices and will empower farmers and other people associated with agriculture. Claims are made “….to focus more on Organic farming which is primarily based on Indian age old farming practices” by Mr.Milan Khamaria.
Almost 2000 copies have been released which are available in the market. It is available in the editorial department at 578, VIP Nagar, Kolkata- 700100
Every District President, Secretary and Treasurer of Bharatiya Kisan Sangh was informed that they should collectively send the details of the previous month and important events of the previous month to the editor of Bharatiya Kisan Barta, Milan Khamaria, in the first week of every English month as without this information, it is not possible to know the overall dynamics of the state.
Mr. Milan Khamaria also proclaimed in a provocative speech “We also demand that farmers should be paid remunerative prices for their produce.” The details of the procedure to implement this was contemplated by Bharatiya Kisan Sangh president Kalyan Mandal’s as he concluded by saying, ‘If farmers should be paid a profitable price, give it. Also, Bharatiya Kisan Sangh is fighting for remunerative prices for farmers.’
অরিত্র ঘোষ দস্তিদারের প্রতিবেদন।
Author: Aritra Ghosh Dastidar
(Student, BCKV ; author in Bharatiya Kisan Barta )