বালাকোটের বিমান হামলায় নিহত জঙ্গির সংখ্যা নিয়ে চাপানউতোর তুঙ্গে। এই হামলায় কত জঙ্গি নিহত হয়েছে তার সংখ্যা নিয়ে বারবার মোদী সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। বায়ুসেনা প্রধান জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা তাঁরা গুনতে পারেননি। তাঁদের কাজ ছিল শুধু টার্গেটে আঘাত করা। এর মধ্যেই জানা গেল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অরগানাইজেশন ( এনটিআরও ) জানিয়েছে, হামলার আগে ওই এলাকায় ৩০০ ফোনের সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ বালাকোটে হামলার ঠিক আগে সেখানে সক্রিয় ছিল ৩০০ মোবাইল।
সূত্রের খবর, ভারতীয় বায়ুসেনা হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছিল এই টেকনিক্যাল রিসার্চ অরগানাইজেশন। বেশ কিছুদিন ধরেই তথ্য সংগ্রহ করেছে তারা। হামলার আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটের পরিস্থিতি বিচার করার জন্য এই তদারকি শুরু করেছিল এনটিআরও। এই সময়েই তাঁদের টেকনোলজিতে ধরা পরে এই ৩০০ মোবাইলের সক্রিয় থাকার ব্যাপার।
এনটিআরও-র এক কর্তা জানিয়েছেন, “আমরা টার্গেট এরিয়া থেকে ৩০০ মোবাইল ফোনের সিগন্যাল পেয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী আঘাত হেনেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। বায়ুসেনা নিজেদের কাজে সফল হয়েছে। কারণ এই হামলার পর থেকেই আর কোনও সিগন্যাল পাওয়া যাচ্ছে না।”
এনটিআরও সূত্রে খবর, তাঁদের পাওয়া তথ্যের পর আরও বিভিন্ন ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি তা খতিয়ে দেখে। তারাও এই ব্যাপারে সম্মতি দেয়। জানা গিয়েছে, ‘র’-এর তরফেও এই তথ্য সম্পর্কে সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই এই তথ্য জানানো হয় বায়ুসেনাকে। সেই অনুযায়ীই হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান।
বালাকোটের হামলার পর তিন বাহিনীর তরফে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে নিহতের সংখ্যা নিয়ে কিছু না বলা হলেও, বলা হয়েছিল তাঁদের কাছে অকাট্য প্রমাণ আছে। কতজন নিহত হয়েছেন, তা সরকার প্রকাশ করবে। সোমবার বায়ুসেনার এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়া জানিয়ে দেন, বালাকোটে কতজন নিহত হয়েছে তা গুনতে পারেনি বায়ু সেনা। তাঁর কথায়, “আমরা শুধু টার্গেট করেছিলাম। এবং ওই টার্গেটে আঘাত হেনেছি। কিন্তু কতজন সেখানে নিহত হয়েছে তা বায়ুসেনা গুনতে পারেনি।” তিনি এ-ও বলেন, এ ব্যাপারে যা বলার সরকার বলবে।