নাগরিকত্ব আইনের পর থেকে দেশ জুড়ে বিভিন্ন রাজ্যতে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। বিভিন্ন রাজ্যতে পড়ুয়া থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবীদের একাংশ সকলেই এই আইনের বিরোধিতা করছেন। এছাড়া বেশ কয়েকটি রাজ্যতে হওয়া নির্বাচনের ফল দেখে অনেকেই মনে করছেন এই ফলের পিছনে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এই নয়া নীতি। এমন অবস্থাতে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর প্রধান জানিয়েছেন এই বিষয়টি একেবারেই ভারতের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়।
এই আইনের পর থেকে অনেক বিশেষজ্ঞরাই মনে করেছিলেন দুই দেশের মধ্যে খুব তাড়াতাড়ি সংঘাত শুরু হবে। কিন্তু সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর প্রধানের থেকে এই ধরনের মন্তব্যর পরে বোঝা গেল বাংলাদেশ এব্যাপারে জড়াতেই চাইছে না।
যদিও আগেই বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা পেলেই পদক্ষেপ নেবে তারা। তারপরে সীমান্তরক্ষা বাহিনীর ডিজির করা মন্তব্যতে মনে করা হচ্ছে কিছুটা হলেও জোর পেল কেন্দ্র।
রবিবার নয়াদিল্লিতে বিজিবি প্রধান সাফিনুল ইসলাম জানিয়েছেন নাগরিকত্ব আইনের বিষয়টি একেবারেই ভারতের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়। এছাড়াও জানিয়েছেন দুই দেশের মধ্যের সম্পর্ক খুবই ভাল। এছাড়াও জানিয়েছেন ভারতে যাতে কোন অনুপ্রবেশ না ঘটে সেদিকে নজর রাখবে বিজিবি।
এমনিতেই অসমে হওয়া নাগরিকপঞ্জী নিয়ে উত্তেজিত সেখানকার মানুষজন। এছাড়া সেই উত্তাপের আঁচ এসে পড়েছে অন্যান্য জায়গাতেও। ক্রমেই মানুষ এই আইনের বিরোধিতা শুরু করেছেন। তবে চুপ করে রয়েছেন অনেকেই। এছাড়াও এই আইনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিভিন্ন রাজ্যর পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে গিয়েছিল বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখতে হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা।