নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Law) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জীকে (National Register of Citizens) সমর্থন জানিয়ে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে প্রশাসনকে চিঠি লিখলেন শিবসেনা সাংসদ হেমন্ত পাতিল (Hemant Patil), দুটির সমালোচনা করেছে তাঁর দল শিবসেনা। লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে ভোট দেয় শিবসেনা, যদিও শরদ পাওয়ারের মধ্যে কংগ্রেস বার্তা দেওয়ায় রাজ্যসভায় অনুপস্থিত থাকে। চিঠিতে হেমন্ত পাতিল লেখেন, “বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় আমি নাগরিত্ব আইন ও এনআরসি সমর্থনে পদযাত্রায় উপস্থিত থাকতে পারিনি। আমি তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি লোকসভায় এগুলিকে সমর্থন করেছি”। তিনি লেখেন, “শিবসেনা সবসময়েই একটি হিন্দুত্ত্ববাদী দল। আমি এই ইস্যুগুলিকে পুরোপুরিই সমর্থন করি, সেই জন্যই আমি চিঠি লিখছি”।
সূত্রের খবর, একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্দ্যেশে এই চিঠি লেখা হয়েছে, তাঁরা হলেন হিঙ্গোলির ভোটার। নিজের এলাকাকে ঠিক রাখার জন্য এবং দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী বিজেপি, যাতে হিন্দুত্বের জায়গাটি নিতে না পারে তারজন্যই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভিন্ন পথে হাঁটা, শিবসেনা ও কংগ্রেস, দুটি আদর্শগত দলের কাছে ছিল বড় চাপ, গতমাসেই শরদ পাওয়ারের এনসিপির হাত ধরে ক্ষমতায় বসে তারা।
নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের মাধ্যমে এই প্রথমবার নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য জাতপাতকে আনা হয়েছে। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, এর ফলে মুসলিম অধ্যুষিত দেশের ধর্মীয় নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ হবে। বিরোধী, বিভিন্ন আন্দোলনকারী এবং সরকারের কয়েকটি শরিকের দাবি, এই আইনটি মুসলিমদের প্রতি বিবাজনমূলক, ফলে এটি সংবিধানের পরিপন্থী।
বিলের পক্ষে শিবসেনা ভোট দেওয়ায়, ক্ষুব্ধ রাহুল গান্ধি ট্যুইট করেন, এই বিলকে যারা সমর্থন করছে তারা “আমাদের দেশের ভিত্তিকে আঘাত এবং ধ্বংস করার চেষ্টা করছে”।
দুদিন পর, রাজ্যসভায় ভোটদান থেকে বিরত থাকে শিবসেনা, তবে দলটি হিন্দুত্ববাদী দল বলেই পরিচিত।
উদ্ধব ঠাকরে চূড়ান্তভাবে জানান, নাগরিকত্ব আইনটি ভিডি সাভারকরের দৃষ্টিভঙ্গির থেকে পৃথক। তিনি বলেন, “সিন্ধু নদ থেকে সিন্ধু মহাসাগর পর্যন্ত অভিন্ন ভারতবর্ষের আদর্শ ছিল সাভারকরের। যেভাবে সাভারকর ভেবেছিলেন, আপনারা কি তেমনভাবেই ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করতে চান। ওই সমস্ত দেশ (পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ) থেকে আপনি কি হিন্দুদের ডেকে আনছেন, যার অর্থ আপনি সাভারকরের চিন্তাভাবনাকে অস্বীকার করছেন”।