Pakistan was born the day when the first Hindu was converted into Islam centuries ago- Jinnahউক্ত গল্পটি সে যুগে রচিত, যে যুগে ভারতবর্ষের মাটিতে বাস করতেন একজন কুঁজো হয়ে হাটা বৃদ্ধ মানুষ (গান্ধী) যিনি দাঙ্গা কবলিত পাঞ্জাবের ধর্ষিতা নারীদের উদ্দ্যেশ্য বলেছিলেন তারা যেন জিহ্বায় কামড় দিয়ে কোন বাঁধা না দিয়ে, অহিংস নীতির বিরুদ্ধে না গিয়ে, ধর্ষনের জ্বালা ও অপমান সহ্য করে নেয়; অন্যদিকে ছিলেন সমস্ত ধর্মীয় ও সামাজিক গোঁড়ামি মুক্ত, আসুরিক ক্ষমতাসম্পন্ন একজন ভয়ঙ্কর রকম ক্ষমতালোভী জিন্নাহ যিনি একসময় নিজের সম্পর্কে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি, ” a nationalist first, nationalist second and nationalist third”।
সেই সময়ে পাকিস্তানের দাবিতে গ্ৰেট ক্যালকাটা কিলিং হয়ে গেছে। ধর্মের নামে মুসলমানদের তরবারি কোটি কোটি হিন্দুদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। সেই হিন্দুবিদ্বেষী আগুন এবার এসে পড়ে বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলায় যেখানে গান্ধীর আগমনে আগুনে ঘি সঙ্চার করে। গোলাম সারোয়ার নামে তত্কালীন একজন এম-এল-এ ঐ জেহাদের ডাক দেন। গোলাম সারোয়ারের ডাকের অনুলিপি পাওয়া যায়নি, কিন্তু জর্জ সিমসন রায়টের যে বিবরণ দিয়েছেন তার এক জায়গায়া আছে- “জোর করিয়া ব্যপক ভাবে দলে দলে হিন্দুদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করিবার বিবরণ প্রত্যেক গ্রামেই পাওয়া গিয়েছে। অনেক স্থানে পুরুষেরা আপত্তি করিলে তাহাদের স্ত্রীদের আটক করিয়া তাহাদেরকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করিতে বাধ্য করা হইয়াছে।” (রমেশচন্দ্র মজুমদার, বাংলাদেশের ইতিহাস, ৩য় খন্ড)
স্টেটসম্যান পত্রিকার জনৈক সাংবাদিক নোয়াখালীর দাঙ্গা বিধ্বস্ত অঞ্চলে রিপোর্ট করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতার সম্মূখীন হয়েছিলেন তা মধ্যযুগীয় মুসলমান শাসন ব্যবস্থা বা ইসলাম প্রতিষ্ঠাও ততপরবর্তী কালের আরব ইরান ও অন্যান্য অঞ্চলের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তিনি স্টেটসম্যান পত্রিকায় তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছিলেন এভাবে-
“নোয়াখালীর রামগঞ্জ থানার একটি বাচ্চা মেয়ে আমাকে এই ঘটনাটি বলেছিল।
১০ ই অক্টোবর সকালে একদল লোক ঐ মেয়েটির বাড়িতে এসে মুসলীম লীগের তহবিলে পাচ শ টাকা চাদা চায়। চাদা না দিলে বাড়ির সবাইকে খুন করা হবে বলে ওরা হমকি দেয়। প্রাণের ভয়ে মেয়েটির বাবা ওদের পাচশ টাকা দেন। এর কিছুক্ষন পর আবার ওরা আসে, সঙ্গে এক বিরাট জনতা। ঐ বাড়ির জনৈক অভিভাক, যিনি আবার পেশায় মোক্তার, ঐ উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে এগিয়ে যান, কিন্তু তিনি কোন কথা উচ্চারণ করবার আগেই তার মাথাটা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর গুণ্ডারা পরিবারেরে সবচেয়ে বয়স্ক লোকটিকে (মেয়েটির দাদু) খুন করে। এবার মেয়েটির বাবার পালা, মেয়েটির বাবাকে তারাই সদ্য খুন হওয়া বাবার মৃতদেহের উপর শুইয়ে দেওয়া হল। তখন মেয়েটির ঠাকুরমা তার ছেলেকে বাচাবার জন্য ছেলের দেহের উপর ঝাপিয়ে পড়েন এবং ওদের কাছে ছেলের প্রাণভিক্ষা চাইতে থাকেন। কিন্তু তাতে ওরা ক্ষুদ্ধ হয়ে ঐ মহিলার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং তার অচৈতন্য দেয় দূরে ছুড়ে ফেলে দেয়। এবার আবার ওরা মেয়েটির বাবাকে মারতে উদ্যেগী হয়। মেয়েটি ভয়ে এতক্ষণ ঘরের কোণে লুকিয়ে ছিল। বাবার প্রাণ বাচাবার জন্য সে তখন ঘর থেকে বেরিয়ে আসে এবং ঐ ঘাতকের হাতে গহনা ও চারশ টাকা দিয়ে তাকে কাকুতি মিনতি করে আর বাবাকে না মারবার জন্য। ঐ ঘাতক তখন বা হাতে মেয়েটির কাছ থেক গহনাগুলি গ্রহন করে এবং সঙ্গে সঙ্গেই ডান হাতের দা দিয়ে মেয়েটির বাবার মাথা দেহ থেকে আলাদা করে ফেলে।”
(দি স্টেটসম্যান, ২৬/১০/১৯৪৬)আধুনিক সাংবাদিক ও প্রতিবেধকগণ এই ধরনের ঘটনাকে গুণ্ডাদের কার্যকলাপ বলে চালিয়ে দিতে চান। কিন্তু এগুলোর কোনটিই গুণ্ডা বা স্বেচ্ছাচারী বাদশাহদের কর্ম নয়। এর প্রতিটি ঘটনাই ইসলাম ধর্মসম্মত পবিত্র কাজ। জন্নত লাভ করার উদ্দেশ্যে পবিত্র জেহাদ। হিন্দুরাষ্ট্র অখন্ড ভারতকে গাজওয়া এ হিন্দ বানানোর একটি প্রচেষ্টা যা আজও সংগঠিত হচ্ছে দিল্লি, ব্যংগালোর, বাংলা, কাশ্মীর সহ বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু হিন্দু আজও সেকুলারিজমের নামে বিভক্ত। ঘুমন্ত হিন্দুর নিদ্রাভঙ্গ হয়তো সেদিন হবে যে ইসলামের তরবারী তার ঘাড়ে এসে পড়বে। ততদিন আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কর্তব্য এই চিরনিদ্রা ভঙ্গ করা। সময় আর নেই। “কর্তার ভুত” বিদায় করার দায়িত্ব প্রত্যেক হিন্দুকেই নিজের ঘাড়ে তুলে নিতে হবে।
ময়ূখ দেবনাথ