কতদিন হয়ে গেল ফুচকার টক ঝাল জলে জিভের স্বাদ বদলানো হয়নি। ধোঁয়া ওঠা রোল কিংবা পাড়ার মোড়ের দোকানের চপ মুড়ি খাওয়া হয়নি। রঙিন চাটের রকমারী স্বাদ একরকম মানুষ ভুলতেই বসেছে। হ্যাঁ স্ট্রিটফুড ভালো লাগে না এমন মানুষ কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। অথচ মুখরোচক এই সব খাবারের ব্যবসা করোনা আর লকডাউনের কারণে এক্কেবারে লাটে উঠেছে। এবার সেই ব্যবসায়ীদের কথা ভেবেই স্ট্রিটফুডের জন্য নয়া অ্যাপ আনছে মোদী সরকার। হ্যাঁ বাড়িতে বসে অনলাইনে এবার পেতে পারেন ফুচকা, চাট, চপ, রোল।
করোনা থেকে বাঁচতে মানুষ গৃহবন্দি অবস্থা থেকে এই দীর্ঘ সময়ে এই সব লোভনীয় খাবার থেকে অনেক দূরে চলে গেছে। আর এর ফলে এই সব খাবার বিক্রেতাদের অবস্থাও করুন। কিন্তু না এবার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে ট্রিট ফুড। ঠিক যেমন বড় বড় রেস্তোরাঁ থেকে অনলাইনে ফরমায়েশের খাবার পৌঁছে যায় বাড়িতে। সেভাবেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে ফুটপাতের রোল, মোমো,ফুচকা বড়া। বাড়িতে বসেই পাবেন পথের খাবার।
কেন্দ্র সরকার স্ট্রিটফুড ব্যবসায়ীদের জন্য একটি নয়া অ্যাপ বাজারে আনতে চলেছে। এর সাহায্যে মানুষের পছন্দমত স্ট্রিটফুড হোম ডেলিভারি করার সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা আর তাতেই হয়তো ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবে স্ট্রিটফুড বিক্রেতারা।
মধ্যপ্রদেশে ৩৭৮টি ছোট বড় শহরে স্ট্রিট ফুড ব্যবসায়ীদের একথা স্বনিধি যোজনায় আনার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে ইন্দোর জেলার কয়েকজন স্ট্রিটফুড বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। মোদী বলেন এই মহামারিতে সবচেয়ে বেশি দুর্দশা অবস্থা দেশের দরিদ্র মানুষের। তাই সেই সব মানুষকে সহায়তা করতে সবচেয়ে বেশি তৎপর কেন্দ্র। তাদের জন্য একাধিক প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র সরকার।
মোদীর কথায় যে সমস্ত মানুষ প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনায় নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন, তাদের সব রকমের প্রাথমিক সুবিধা দেবে কেন্দ্র। স্ট্রিটফুড ব্যবসায়ীদের উন্নতির স্বার্থেই সমস্ত প্রকল্প দ্রুত চালু করতে চাইছে সরকার। এছাড়াও এই যোজনায় যারা যুক্ত হবেন তাদের উজ্জ্বলা, আয়ুষ্মান ভারত, আবাসন সহ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প গুলির সুবিধা পাচ্ছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,স্বনিধি যোজনায় স্ট্রিটফুড ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন পরিচিতি ও সুযোগ দেবে, যা তাদের ব্যবসার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করবে। অন্যদিকে এই প্রকল্পের আওতাধীনরা ব্যাংক থেকে প্রাথমিকভাবে কিস্তিতে ১০ হাজার টাকা করে ঋণ পাবেন। ভবিষ্যতে এই ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্র।
প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, এর আগে দেশে গরিবদের জন্য এত সুবিধা কোন সরকার দেয়নি। মোদী সরকার গরিবদের জন্য একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। দেশের দরিদ্র মানুষকে পর্যায়ক্রমে স্বনির্ভর করেই আত্মনির্ভর ভারত গঠন করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চাইছে সরকার বলে জানিয়েছেন মোদী।