‘এই তো বাংলা!’
ঘেন্না লাগে, জানেন? তীব্র বিবমিষা হয়। চুপচাপ থাকি কারণ রুচিতে বাধে। রুচিতে বাধে সাহিত্য সংস্কৃতির জগতের আসন দখল করা নিম্নমেধার রাজনীতিবাজ হ্যাংলাগুলোর সঙ্গে গা ঘষাঘষি করতে! তাই কোথাও যাই না। দেশে ফেরার পর উদ্যোগ উদ্যম যা ছিল, সেসবে বাধাও এসেছিল এইসব ছোটলোকদের তরফে।
কারণ, স্বঘোষিত ছিলপি আর কপিদের পাত্তা দিই নি কোনোদিন। আর দেবও না।
গোটা দুনিয়া জুড়ে মঞ্চে এককাভিনয়, আমাদের ইওরোপিয় নাট্যদল নিয়ে অভিনয় করে এসে এই গোষ্পদের জলে ডুব দেওয়ার মতো মেরুদন্ডহীন কেঁচো আমি নই।
তাই এদের কারোর কাছে কখনো ‘হেঁ হেঁ’ করতে যাইনি। যাবোও না। কারণ, আত্মসম্মান আমার কাছে অনেক দামী। রাজনীতির ধামাধরা অযোগ্য, নীচ লোকজনকে বাঘছাল পরা শেয়াল বলে মনে করি।
ঠিক করি।
এরা শুধু জানে গুছিয়ে নিতে। নিজের ধান্ধাবাজিটা। হিংস্র শ্বাপদের মতো দল পাকায় এরা। জঙ্গলের রাজত্ব এখন এইসব নোংরা হায়েনার দখলে। কদাকার, দুর্গন্ধময়, কুৎসিত এদের চেহারা ও আচরণ। চারপাশের সমাজটাকেও এরা এইভাবে ভয় দেখিয়ে চালাচ্ছে। একদল পোকামাকড়ের মতো প্রাণী নিজেদের ‘মানুষ’ পরিচয় দিয়ে কলার তুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে চারদিকে। যারা মানুষের ছদ্মবেশে রাক্ষস রাক্ষসী!
এরা কেমন করে সহ্য করবে বলতে পারেন আসল বাঘকে? বলতে চাইছি, শিল্প সাহিত্যের জগতের সত্যকারের শিক্ষিত, সৃজনশীল ব্যক্তিদের এরা আসলে ভয় পায়। প্রচন্ড হিংসে করে। ভিতরে ভিতরে এদের মনে কাজ করে ভয়ানক আক্রোশ। সেটা মেটানোর সুযোগ এলেই তার সদ্ব্যবহার করতে একচুল পিছপা হয় না এরা!
এই হায়েনারা যত চেষ্টাই করুক, এ জন্মে তো আর বাঘ হতে পারবে না! তাই বাঘ দেখলেই এরা ফেউএর মতো পিছনে লেগে পড়ে। বাঘটা যাতে বিরক্ত হয়ে সরে যায়। আইন আদালত, পুলিশ প্রশাসন সবকিছু নষ্টদের দখলে, এরা সেখানকার সুযোগ সুবিধা নিয়ে কোনো ভদ্র, উচ্চরুচির, সৃজনশীল মানুষকে টিঁকতে দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। পরস্পরের পিঠে থাবড়া দিয়ে এরাই গড়গড়িয়ে রসাতলে নিয়ে চলেছে সাহিত্য, শিল্প সহ সংস্কৃতির প্রতিটি এলাকাকে।
ওপরে যে কথাগুলো বললাম, তা সকলে জানেন। কিন্তু প্রতিবাদ করার মতো মানুষ চারপাশে নেই। থাকার কথা নয়ও। এখন সেই হিটলারের ভাষায় “মানুষকে এমন অবস্থায় রাখো যাতে বেঁচে থাকাটা তার কাছে সবচেয়ে বড়ো উন্নয়ন বলে মনে হয়।” থিওরিটা কার্যকরী হয়ে গেছে। করোনা+অপরাজনীতি = অসহায়তা।
এখন পুরো জাতটাই ভিখারি। ভিখারির কোনো অধিকারবোধ থাকতে নেই। মান সম্মানের তো প্রশ্নই ওঠেনা।
সবাই ‘ভিখারি’ নয়। লেখক এবং উজ্জ্বল মানুষ বুদ্ধদেব গুহও ভিখারি ছিলেন না। তিনি অকাদেমি পুরস্কারের জন্য একটা তৃতীয় শ্রেণীর হামবাগের কাছে করুণ আকুতি করেছেন, একটা ছকবাজ, ঈর্ষাকাতর, অপরের চরিত্র হননকারী, মেধাশূণ্য লোকের কাছে হাত পাতবেন – এ অসম্ভব!
অসম্ভব
অসম্ভব
অসম্ভব!
এ লোকটি অম্লানবদনে মিথ্যা বলে। চোখের পাতা এর কাঁপে না। যে বা যারা তার কোনো এককালে উপকার করেছে, বিদেশে যাদের কাছে সুবিধা নিয়ে পরে তাদের ব্যক্তিজীবনে নাক গলিয়েছে এই ব্যক্তি। সেখানেও একটাই উদ্দেশ্য, সুবিধা লোটা।
হ্যাঁ। আমি এই চামারের নোংরা রাজনীতি আর নীচ ছোটলোকোমির শিকারদের একজন। জেনেশুনে, দায়িত্ব নিয়ে বলছি, এ লোকটা পরশ্রীকাতর, ছকবাজ, সুবিধাবাদী এবং লোকটা মিথ্যা বলছে। এক সদ্যমৃত বরেণ্য লেখককে নিয়ে তার মিথ্যা আর ঔদ্ধত্যে ভরা লেখাটা আবার ছেপেছে কোনো একটি পত্রিকা। তেলবাজি করে চলা ফোর টুয়েন্টি সংবাদমাধ্যম এসব চায়। একজন অশীতিপর সদ্য প্রয়াত বরেণ্য মানুষ সম্পর্কে নোংরা মিথ্যাটা সহজে বলা চলে আজ। তিনি বেঁচে থাকাকালীন এ কথাগুলো ওই চোখের চামড়া না থাকা ছকবাজের বলার সাহস হয়নি। এখন সে বীরদর্পে গর্ত থেকে বেরিয়েছে।
অনুভূতিশীল, রুচিসম্পন্ন উচ্চকোটির সৃজনের দিনকাল গেছে। আমার মতো বহু বহু মানুষ আছেন যাঁরা এই গর্ভস্রাবেরা কী করছে তা নিয়ে মাথা ঘামান না। কারণ, নিম্নমানের কোনোকিছু নিয়ে নেত্য করার মতো ইচ্ছে তো দূরের কথা, ছুঁয়ে দেখতেও গা ঘিনঘিন করে।
কাগজটি উল্টে দেখি না, জানতামও না। গোঁসাই সুমন এর দেওয়ালে দেখলাম। দিলাম আপনাদের জন্য। মানসদা, দীপ্তেন্দুদাকে ট্যাগ করলাম। তোমাদের যদি মনে হয়, ওই চামার সরকার তোমাদের ক্ষতি করবে (ওই একটা কাজ ভালো পারে) তাহলে ট্যাগ খুলে নিও।
গৃধ্নু কথাটার অর্থ তো জানেন। লোভী। এর কাছাকাছি শব্দ হলো গৃধ্র। যার অর্থ শকুন। এক্ষেত্রে দুটি শব্দকে মিলিয়ে বলছি, “আমি ক্লাব পছন্দ করিনা”, এটাও একটা মস্ত মিথ্যা বৈ অন্য কিসসু নয়। এদের আপাদমস্তক মিথ্যা। আপাদমস্তক তেলবাজি। আপাদমস্তক নোংরা লোভ।
এদের অপরাজনীতির নোংরামির জন্যই আজ বাংলা শিল্প সংস্কৃতির এই চরম অধঃপতন আমাদের দেখতে হচ্ছে।
চ্যালেঞ্জ করে বলছি, এদের কোনো শিল্প টিঁকবে না। সেটা ওরা জানে বলেই যোগ্য মানুষদের নিশ্চিহ্ন করতে হাতে তরোয়াল নিয়ে নেমে পড়েছে আসরে।
তালেবানের সঙ্গে এদের পার্থক্য পোষাক আর ভাষায়। বাকি সবটা এক।
এর নাম আপনারা জানেন। আমার নামটা উচ্চারণ করতেও ঘেন্না করে। একসময় এই অমানুষটাকে বিশ্বাস করতাম, বোকার মতো বহুকিছু দিয়েছি তখন, বিদেশে থাকতে। পরবর্তীতে এই ছোটলোক আমার ব্যক্তিজীবনে মাথা গলিয়ে এখন সেখানেও ছকবাজি করছে। সঙ্গে জুটেছে আরও কয়েকটা শকুন।
আমার কথাগুলো অপছন্দ হলে স্বচ্ছন্দে আমাকে আনফ্রেন্ড করে দিন। কিন্তু কোনোরকম দাদাবাজি বরদাস্ত করা হবে না। মনে রাখবেন।
নমস্কার
আনন্দম।।
সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
Diptendu Chakraborty
Manas Roy