কেরলের শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই পরিস্থিতিতে মহিলা পুণ্যার্থীদের আলাদা করে কোনও নিরাপত্তা দিতে পারবে না, এমনটাই জানিয়ে দিলেন কেরলের আইনমন্ত্রী এ কে বালান।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর সাংবাদিক বৈঠকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায় বিষয়টি নিয়ে আরও জটিলতা তৈরি করেছে।
আইনজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে তারপরেই এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে রাজ্য সরকার। এই মুহূর্তে শবরীমালা বিষয়টি আরও জটিল হয়ে দাঁড়াল।” আরও এক ধাপ এগিয়ে আইনমন্ত্রী এ কে বালান জানিয়েছেন, “সুপ্রিম কোর্টের এই রায় সরকারকে আরও সমস্যায় ফেলেছে। এই মুহূর্তে শবরীমালা মন্দিরে মহিলা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা দিতে সরকার অক্ষম। কারণ কোনও নির্দিষ্ট রায় না আসার ফলে কোনও পথ সরকার অবলম্বন করবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।”
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই মামলাকে সাত সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানর নির্দেশ দেয়। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানান, শুধু শবরীমালা নয়, দেশের অন্য অনেক ধর্মীয় স্থানেই মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মহিলাদের স্বাধীনতা ও অধিকারের প্রশ্নেই এই মামলা আরও বৃহত্তর বেঞ্চে দেখা উচিত বলেই সম্মতি জানিয়েছেন বিচারপতি গগৈ, বিচারপতি খানউইলকর ও বিচারপতি ইন্দু মলহোত্র।
তবে এই বিষয়ে সহমত পোষণ করেননি আরও দুই বিচারপতি আর এফ নরিম্যান ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁরা শীর্ষ আদালতের পুরনো রায় বলবৎ রাখার পক্ষেই মত দেন। তাঁরা বলেন, আদালতের কাছে সংবিধানই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। সংবিধানকে মাথায় রেখেই রায় দেওয়া উচিত সুপ্রিম কোর্টের। অবশ্য পুরনো রায়ের উপর কোনও স্থগিতাদেশও জারি করেনি সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। কিন্তু তারপরেও মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলেই জানিয়ে দেন আইনমন্ত্রী।