মন্দির অপবিত্র করার কাজটা ওদের মতো আর কেউ পারে না; ঈদের পরের রাতেই ঘটালো ঘটনা যা সচরাচর হয়ে থাকে; ২ কোটি হিন্দু জনসংখ্যা, নেহাতই কম নয়, কিন্তু এঁদের ভবিষ্যৎ কি বাংলাদেশে?

আবার মন্দির অপবিত্র করার ঘটনা ঘটলো বাংলাদেশে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ ঈদুল আজহারের পরদিন রাতেই টার্গেট করা হয় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার দুর্গম নিজশাল্লা গ্রামের আলীনগর পাড়ার এক কালীমন্দির।
ধর্মীয় বর্বরতা ও নোংরামির নিদর্শন হিসেবে মন্দিরের দরজায় গরুর নাড়ি ভুঁড়ি দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। ব্যাপারটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হলেও ঘটনার আট দিন পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
সনাতন ধর্মীয়দের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে তারপর থেকে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিজশাল্লা গ্রামের আলীনগর পাড়ায় এখন প্রায় ৫০ পরিবার হিন্দু সম্প্রদায়ের বসবাস। ঈদুল আজহার এক সপ্তাহ আগে গ্রামের জয়দেব দাসকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মারধর করেন গ্রামের প্রভাবশালী আব্দুস সালাম। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ঈদের পরদিন রাতে দুর্বৃত্তরা আলীনগর গ্রামের রাখাল দাসের বাড়ির কালীমন্দিরের দরজায় গরুর ভুঁড়ি বেঁধে রেখে যায়। সকালে বিষয়টি দেখে ক্ষুব্ধ হন সনাতনধর্মীরা।

আলীনগর কালিমন্দিরের পার্শ্ববর্তী বসতঘরের বাসিন্দা প্রাণেশ দাস বলেন, আমরা শত বছর ধরে এই এলাকায় বসবাস করছি। আমাদের অনেকেই নানা কারণে এলাকা ছেড়ে ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছেন। অতীতে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। এভাবে আমাদের পবিত্র মন্দিরে কোরবানির গরুর ভুঁড়ি দড়ি দিয়ে বেঁধে মন্দিরের দরজায় রেখে যাবে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। তবে এই কৃতকর্মের জন্য গ্রামবাসী আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তারা আশ্বাস দিয়েছেন, দোষীকে খুঁজে বের করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.