জম্মু-কাশ্মীরে শিখ মেয়ের ধর্ম বদল হলো, নিকাহ হল। কিন্তু এসব বাধায় আটকে না পরে তাদের সম্প্রদায়ের বড়রা মেয়েকে জিহাদিদের হাত থেকে মুক্ত করে নিজেদের সম্প্রদায় ছেলের সাথে আবার বিয়ে দিলেন।
শিখরা কথিত আইন ও সামাজিক বিরুপতার কাছে আত্মসমর্পণ করেনি…
ঘটনাটি জানা মাত্রই শ্রীনগরে খুব কম সংখ্যক শিখ থাকা সত্ত্বেও শিখ মহিলা, পুরুষ, শিশু ও বয়স্করা পথে নেমেছে, আদালত প্রাঙ্গন ঘেরাও করেছে। অন্যদিকে শ্রীনগরে পৌঁছাতে দেরি করেননি পাঞ্জাব হরিয়ানা দিল্লীর শিখ নেতারা।
প্রথমে ধর্ণা, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে সারাদেশ কাঁপিয়ে তারপর সরকারকে আলটিমেটাম দিলেন। বাধ্য হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে মাঠে নামতে হলো কারণ প্রশাসনিক সহযোগিতা ছাড়া সদ্য ধর্মান্তরিত মেয়ের গুরুদুয়ারায় দিয়ে দেওয়া সম্ভব ছিল না।
এটা যদি কোন হিন্দু সনাতন মেয়ের সাথে হতো তাহলে হিন্দু বাবা-মায়েরা কিছুদিন কেঁদে কেটে হাল ছেড়ে দিতেন। সামাজিক সাহায্য, প্রতিবাদ, ধর্ণা বিক্ষোভের প্রশ্নই ছিল না।বেশিরভাগ হিন্দুরাই বলতো মেয়ে সাবালিকা, ধর্মান্তরিত হয়ে গেছে নিকাহ ও হয়ে গেছে এখন কিছু সম্ভব না। আর তাছাড়া এরকম কোন হিন্দু ছেলে কি এগিয়ে আসত এই মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য? তবে গালি দেয়ার মানুষের অভাব পরত না।
অভিনন্দন শিখদের আবারও এটি বোঝানোর জন্য জীবিত সম্প্রদায় কখনো সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে না…সঠিক সময় তৈরি করে নেয়।করোনা তাদের আন্দোলনে বাধা দিতে পারে নাই।কিন্তু আমাদের ঠিকই দমিয়ে দিয়েছে।
বোঝা গেল সক্রিয়,সাহসী, সংঘবদ্ধ,নিজ সম্প্রদায়ের প্রতি বিশ্বস্ত জাতির সামনে কোন বাধাই যথেষ্ট না।