ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে পড়ে থেকে এক প্রকার নষ্ট হচ্ছে টাকা বলা চলে কারণ কোনও দাবিদার নেই৷তাও আবার যে সে অ্যাকাউন্টে নয়, এমনটা দেখা গিয়েছে একেবারে সুইস ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে৷ এমন লেনদেনহীন সুইৎজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের থাকা অ্যাকাউন্টের প্রায় এক ডজন অ্যাকাউন্ট হল ভারতীয়ের৷ শুধু তাই নয় এদের মধ্যে দুজন হল কলকাতার৷দাবিদারের হদিশ না মিললে তা এবার হয়ে যাবে সুইস সরকারের সম্পত্তি৷
এই পরিস্থিতিতে সুইৎজারল্যান্ডের সরকার চাইছে এমন দীর্ঘদিন ধরে ঘুমন্ত থাকা অ্যাকাউন্টগুলির মালিক বা তার ওয়ারিশরা যেন উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে ওই অর্থ দাবি করেন৷ আর ডিসেম্বরের মধ্যে এই দাবি না পেশ হলে সেগুলি চলে যাবে একেবারে সুইস সরকারের হাতে৷কয়েকটি আবার পরের বছর চলে যাবে সরকারের হাতে৷ ২০১৫ সাল থেকে লেনদেনহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই রকম অ্যাকাউন্টে রয়েছে বেশ কিছু ভারতীয়র নাম।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সুইস সরকার প্রথম এমন ২৬০০ লেনদেনহীন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রকাশ করে। সুইস সরকার এইসব অ্যাকাউন্টগুলির বিশদ তথ্য প্রকাশ করলেও কেউ দাবিদার বলে এগিয়ে আসেননি।তথন দেখা যায় ওই সব অ্যাকাউন্টগুলিতে গচ্ছিত প্রায় ৩০০ কোটি টাকা দাবিহীন হয়ে পড়ে রয়েছে।তারপরে প্রতি বছর সংখ্যা বাড়ছে ফলে এখন তা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার আর লকার রয়েছে অন্তত ৮০টি। এমন প্রায় ১০টি ভারতীয়দের নামে থাকা অ্যাকাউন্ট গুলিতে যেমন রয়েছে মুম্বইবাসী, দেরহাদুনবাসী এবং অনাবাসীদের নাম তেমনই মিলেছে কলকাতাবাসীর নামও৷ অ্যাকাউন্টহোল্ডারদের তালিকায় লীলা তালুকদার এবং প্রমথ এন তালুকদারের নামও পাওয়া গিয়েছে৷
ওই অ্যাকাউন্টের অর্থ কেউ দাবি না করায় এবার তা চলে যেতে বসেছে সুইৎজারলান্ডের কোষাগারে৷ এছাড়া অমন লেনদেনহীন ভারতীয়দের নামে থাকা ব্যাংক অ্যাকউন্টগুলির যাদের তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন দেরহাদুনের চন্দ্র বাহাদুর সিং এবং মুম্বইয়ের দুজন রেজমেরি বার্নেট ও পিয়েরি ভাশেক। আরও কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে তারা হলেন- চন্দ্রলতা প্রাণলাল প্যাটেল, মোহন লাল, কিশোর লাল ও যোগেশ প্রভুদাস সুশা।
প্রসঙ্গত, বিদেশে পাচার করা কালোটাকার হদিশ করতে এ বছরের শুরুতে, সুইৎজারল্যান্ড সহ আরও চারটি দেশের সঙ্গে ভারত সরকার চুক্তি করেছিল যাতে ওই সব দেশগুলিতে ভারতীয়দের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তথ্য নিয়মিত সরকারি স্তরে আদানপ্রদান করা হয়।