খোলা বাজার অর্থনীতির যুগে রাজকোষে অর্থের আমদানি জন্য এতদিন দু’টি পথ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমত যে সরকারি সংস্থাগুলি দীর্ঘদিন যাবৎ ক্ষতিতে চলছে, সেগুলি বেসরকারি উদ্যোগপতিদের কাছে বেচে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা হয়েছে। ২০২১-২২ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে তহবিল সংগ্রহের জন্য তৃতীয় একটি পথের কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সেই পথের নাম ‘ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন’। রবিবার জানা যায়, সোমবার ওই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী।
এই প্রকল্পের অধীনে রাস্তা, বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র, তেল ও গ্যাসের পাইপলাইন, টেলিকম টাওয়ার, স্পোর্টস স্টেডিয়াম ইত্যাদিতে বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে কেন্দ্র। একইসঙ্গে দেড়শটি যাত্রীবাহী ট্রেন বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে। বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের শেয়ার বিক্রি করা হবে বেসরকারি সংস্থাকে।
এর পাশাপাশি সোমবারই অর্থমন্ত্রীর কাছে আয়কর দফতরের ই-ফাইলিং বিগড়ে যাওয়া পোর্টাল নিয়ে কৈফিয়ৎ দেবেন ইনফোসিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা চিফ এক্সিকিউটিভ সলিল পারেখ। অর্থমন্ত্রকের তরফে রবিবার এক টুইটে বলা হয়েছে, ওই ই-ফাইলিং পোর্টাল কাজ শুরু করে আড়াই মাস আগে। এতদিন বাদেও তার নানা সমস্যা দূর হয়নি। কেন পোর্টাল নির্বিঘ্নে কাজ করছে না, তা অর্থমন্ত্রী জানতে চাইবেন ইনফোসিসের চিফ এক্সিকিউটিভের কাছে। অর্থমন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে, গত ২১ অগাস্ট থেকে ওই পোর্টাল আদৌ কাজ করছে না।
আয়করদাতাদের সুবিধার জন্য গত ৭ জুন নতুন ই-ফাইলিং পোর্টাল চালু হয়। ওই ওয়েবসাইট ডেভলপ করার জন্য ইনফোসিসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে। কিন্তু অনেক সময় পোর্টাল অ্যাকসেসই করা যাচ্ছিল না। আরও নানারকম সমস্যা হচ্ছিল। কেন এমন হচ্ছে জানার জন্য গত ২২ জুন অর্থমন্ত্রক ইনফোসিসের অফিসারদের ডেকে পাঠায়। কীভাবে সমস্যা দূর করা যাবে, সেজন্য অপর কোনও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার সাহায্য নেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়েও তাঁদের পরামর্শ চাওয়া হয়। সেই বৈঠকে ইনস্টিটিউট অব চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়া জানায়, আয়করদাতাদের মতো ট্যাক্স প্রফেশনালরাও ওই পোর্টাল নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। গত সপ্তাহের শুরুতে নির্মলা সীতারমন জানিয়েছিলেন, পোর্টালের সমস্যার সমাধান হতে আরও দুই-তিন সপ্তাহ লাগবে। তাঁর কথায়, “ইনফোসিসকে আমি বেশ কয়েকবার পোর্টালের সমস্যার কথা বলেছি। সংস্থার কর্তা নন্দন নিলেকানি আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।”