রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট কমালে ব্যাঙ্ক গুলোকেও সময় নষ্ট না করে সেই অনুপাতে গাড়ি, বাড়ি কেনার জন্য ঋণের উপর সুদ কমাতে হবে। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অন্য ব্যাঙ্কগুলিকে যে হারে ঋণ দেয় তাকে রেপো রেট বলে। চলতি বছরে চার বার রেপো রেট কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। হিসাব মতো, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সেই পদক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গেই ক্রেতাদের সেই সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা ব্যাঙ্কগুলির। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতা তেমন নয়। সেই কারণেই এ দিন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির উদ্দেশে স্পষ্ট নির্দেশ জারি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, বর্তমানে বাজারে ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি ঋণের উপর সুদের হার কমালে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি আপসে সুদের হার কমাতে বাধ্য হবে।
অগস্ট মাসেই রেপো রেট ৩৫ শতাংশ কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বাজারে নগদের জোগান বাড়াতে তার আগেও তিন বার রেপো রেট কমিয়েছে এই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। অর্থমন্ত্রী এ দিন বলেন, দেখা যাচ্ছে যতটা রেপো রেট কমাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার পুরো সুবিধা ক্রেতারা পাচ্ছেন না।
পরে অর্থমন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, অভিজ্ঞতা হল- রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৫০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট কমালে ব্যাঙ্কগুলো টালবাহানা করে সুদের হার ০.২৫ শতাংশ কমাচ্ছেন। কেউ কেউ সেই সিদ্ধান্ত অনেক বেশি দেরি করছেন। এর ফলে সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আসল উদ্দেশ্য সিদ্ধ হচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই নির্দেশের ফলে গৃহঋণে সুদের হারে ফারাক আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে রিয়েল এস্টেট শিল্পে তার প্রভাব পড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
তবে নির্মলা এদিন জানান, রিয়েল্ট এস্টেট ক্ষেত্রের বৃদ্ধি যে শ্লথ হয়েছে তা সরকারেরও নজরে পড়েছে। এ জন্য খুব শিগগির বড় ঘোষণা করা হবে। কারণ, দেখা যাচ্ছে অনেকে বাড়ির জন্য অগ্রিম টাকা দিয়ে রেখেছেন, কিন্তু কাজ এগোচ্ছে না। প্রোমোটারদের হাতে টাকা নেই। এই সব সাত পাঁচ দেখে সরকার কিছু ব্যবস্থার কথা ভেবেছে। তবে তা আজই ঘোষণা করা হচ্ছে না। কদিন বাদেই জানানো হবে।