এক সময় ছিল যখন কোনও দেশের শক্তি বৃদ্ধির মুল প্যারামিটার ছিল স্থল সেনা। তবে টেকনোলজির বৃদ্ধির সাথে সাথে মিসাইলের ব্যবহার শক্তি প্রদর্শনের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে উঠেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত বড়ো সাফল্য অর্জন করেছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ভারতের বিজ্ঞানীরা দেশের বহু বছরের স্বপ্নকে পূরণ করে দেখিয়েছে। আসলে ভারত স্বদেশী ইঞ্জিনের সাথে নির্ভয়া মিসাইলের টেস্ট সম্পন্ন করেছে।
ভারত নির্ভয়া ত্রুজ মিসাইলের বেশকিছু টেস্ট আগেই সম্পন্ন করেছিল। তবে সবকটি টেস্ট বিফল হয়েছিল। এখন সেই টেস্ট সফল করে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা দেশের মান বৃদ্ধি করেছে। জানিয়ে দি, নির্ভয়া মিসাইলকে চিনের বিরুদ্ধে সবথেকে শক্তিশালী অস্ত্র মনে করা হয়। এমনকি ব্রম্হস মিসাইলের থেকেও নির্ভয়াকে ভয়ঙ্কর মনে করা হয়। যেহেতু এই মিসাইল স্বদেশী ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে তাই চীন ও পাকিস্থানের জন্য এই মিসাইল আরো ভয়ঙ্কর।
কারণ মিসাইলের ইঞ্জিনের ক্ষমতার সম্পর্কিত কোনও খুঁটিনাটি তথ্য বিদেশী দেশের হাতে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। চীনের বিরুদ্ধে এই মিসাইলকে বেশ বড়ো অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। বিশেষ করে লাদাখ সীমান্তে এই মিসাইল ভারতের রক্ষাকবচ ও শত্রু বিনাশক হিসেবে কাজ করবে। উল্ল্যেখ, নির্ভয়া মিসাইল নিজের গতিপথ খুবই দ্রুত পরিবর্তন করতে পারে। পাহাড়ি এলাকায় এই মিসাইল সবথেকে সফল, যা নিঃসন্দেহে ভারতের জন্য বড়ো উপলদ্ধি।
তাবড় তাবড় ডিফেন্স সিস্টেমকে এড়িয়ে টার্গেট হিট করা ও কলাবাজি দেখানোতে নির্ভয়া মিসাইলের জবাব নেই। ম্হস মিসাইল নিজের টার্গেটে হিট করার সময় নিজের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে না। এই কারণে নির্ভয়া মিসাইলকে ভারতীয় ডিফেন্স বিশেষজ্ঞরা চীনের বিরুদ্ধে বড়ো অস্ত্র মনে করেন।