উপত্যকায় সন্ত্রাস দমনে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তলব করা হল একাধিক হুরিয়ত নেতাদের।
এনআইএ সমন পাওয়া হুরিয়ত নেতারা হল মিরওয়াইজ উমার ফারুক এবং নাদিম গিলানি। এই দ্বিতীয় ব্যক্তি আবার হুরিয়ত শীর্ষ নেতা সইদ আলি শাহ গিলানির পুত্র৷
এই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে এনআইএ কর্তারা। সোমবার তাদের জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে হাজির থাকতে হবে এনআইএ তদন্তকারীদের জেরার মুখোমুখি হওয়ার জন্য।
পুলওয়ামা কাণ্ডের পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমনে বিশেষ তৎপর হয় জওয়ানেরা। একই সঙ্গে তদন্ত শুরু করে একাধিক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই অভিযানেই একাধিক হুরিয়ত নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি চালো হয়। তলব করা মিরওয়াইজ উমার ফারুকের বাড়ি থেকে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনআইএ।
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার থেকে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে বিভিন্ন হুরিয়ত নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন সম্পত্তির কাগজ, ব্যাংক লেনদেনের রশিদ, বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের লেটারহেড, পাক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভরতির জন্য সুপারিশপত্র সহ নানাবিধ নথি উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে নাদিম গিলানির বাড়ি থেকে ঠিক কী কী পাওয়া গিয়েছে নির্দিষ্ট করে সেই বিষয়ে কিছু জানায়নি এনআইএ। এক বছর আগে হুরিয়ত প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সইদ আলি শাহ গিলানি৷ তিনি তেহরিক-ই-হুরিয়ত দলের চেয়ারম্যান ছিলেন৷ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন দলের অন্যতম বরিষ্ঠ নেতা মহম্মদ আসরাফ শেহরাই৷
কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের মধ্যে মুখ্য নেতা গিলানিই৷ কট্টরপন্থী নেতা বলে পরিচিত গিলানি কাশ্মীরে ভারত বিরোধী জিগির তুলে থাকেন৷ জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা অনেক বছর আগে এই বিচ্ছিন্নবাদী নেতাকে উপত্যকায় অশান্তি, হিংসার বাতাবরণ ও সন্ত্রাসবাদ কার্যকলাপের জন্য দায়ী করেছিলেন৷
২০১৬ সালে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর গোটা কাশ্মীরে বনধ ডেকে অচল করে দিয়েছিলেন গিলানি৷ কাশ্মীরের সোপোরে কেন্দ্র থেকে তিনবারের বিধায়ক ভারত বিরোধী মন্তব্য থেকে নিজেকে বিরত করেন না৷ জন্মসূত্রে নয়, বরং বাধ্যবাধকতা থেকে নিজেকে ভারতীয় পরিচিয় দিতে হয় বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি৷