কোয়াড শুধুমাত্র প্রতিরক্ষার জন্য তৈরি হয়নি, যে কোনও বিপর্যয় ঠেকাতেও ঝাঁপিয়ে পড়বে এই চতুর্দেশীয় অক্ষ। ভারত সফরে এসে এমনটাই বললেন মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কন। ভারত-আমেরিকা কোয়াড ভ্যাকসিন পার্টনারশিপে মহামারী রোখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
দু’দিনের ভারত সফরে এসেছেন ব্লিঙ্কন। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বুধবারই একপ্রস্থ বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে মার্কিন বিদেশসচিব জানান, কোয়াড কর্মসূচীতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে ভারত-আমেরিকা। একই সঙ্গে করোনা অতিমহামারী মোকাবিলাতেও জোট বাঁধবে দুই দেশ। বিশ্বকে করোনামুক্ত করতে দুই দেশই বদ্ধপরিকর।
করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলের নজর কেড়েছে ভারত। ভারত, আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া, ৪ দেশের রাষ্ট্রনেতাদের নিয়ে প্রথমবার চতুর্দেশীয় বৈঠকও হয়েছে। সেখানে ভারতের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ বরাদ্দ করার কথা বলা হয়েছে। দেশের অন্দরে কোভিড মোকাবিলা, টিকাকরণের পাশাপাশি পড়শি দেশগুলিতে প্রতিষেধক পাঠানো, সব কিছুতে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে ভারত। তাই কোভিড প্রতিষেধক তৈরিতে ভারতকে গোটা বিশ্বের আঁতুড়ঘর করে তোলার চিন্তাভাবনা চলছে, যাতে দ্রুত গতিতে দক্ষিণ এশিয়া-সহ গোটা বিশ্বে সেখানে তৈরি প্রতিষেধক দ্রুত সরবরাহ করা যায়।
একটি সূত্রে জানা যায়, মার্কিন কোম্পানিগুলি যে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, তা যাতে ভারতে উৎপাদন করা যায়, সেজন্য অর্থ দেবে জাপান ও আমেরিকা। ভ্যাকসিন তৈরিতে সাহায্য করবে অস্ট্রেলিয়া। মার্কিন সংস্থা নোভাভ্যাক্স ও জনসন অ্যান্ড জনসন যে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, তা ভারতে উৎপাদন করার চেষ্টা হবে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকেই কোয়াড গোষ্ঠীর অপর তিন সদস্যের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল, এদেশে আরও বেশি ভ্যাকসিন উৎপাদনে তারা যেন সাহায্য করে।