আফগানিস্তানের বাইরে ভারতের মাটিতে জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দিলে তা কখনওই বরদাস্ত করা হবে না। সাফ জানিয়ে দিলেন দেশের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। তাঁর বক্তব্য, আফগানিস্তানের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারত। তালিবান বাহিনী কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাওয়াত বলেছেন, ভারতে কোনওরকম জঙ্গি নাশকতার চেষ্টা করলে তার ফল ভাল হবে না, কারণ সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে।
বুধবার দিল্লিতে থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একটি অনুষ্ঠানে রাওয়াত বলেছেন, তালিবান ২০ বছর আগে যেমন ছিল, এখনও একইরকম আছে। তালিবানি নীতি, শাসনের ধরনে কোনও বদল আসেনি। তাই তালিবানের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করাও সম্ভব নয়। যদিও তালিবান মুখপাত্র সুহেন সাহিন দাবি করেছিলেন, অন্য দেশ বা নিজের দেশের মাটিকেও জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু সন্দেহটা থেকেই যাচ্ছে। রাওয়াত বলছেন, তালিবান ক্ষমতা আসা মানে প্রতিবেশী পাকিস্তানের জমিতে জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাবে। তালিবানের সঙ্গী কারা, সমর্থনে কারা রয়েছে সে দিকটা এখন গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
গোটা বিশ্বের সামনে তালিবান শাসনের নতুন সংস্করণ তুলে ধরতে চাইছে তালিব যোদ্ধারা। কাবুল থেকে ভারত দূতাবাস গুটিয়ে নিক, চায়নি তালিবান। নিরাপত্তার আশঙ্কায় কাবুল থেকে রাষ্ট্রদূত-সহ দূতাবাসকর্মীদের তড়িঘড়ি দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাক ভারত, সেটাও তারা চায়নি। কিন্তু তালিবানি আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারেনি ভারত। কারণ গোয়েন্দা মারফৎ খবর মিলছে, আফগানিস্তানে তালিবান বাহিনীতে যোগ দিচ্ছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এমনও খবর মিলেছে, তালিবানি শাসন কায়েম হওয়ার পরেই আফগানিস্তানে ঢুকেছে পাকিস্তানের দু’টি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা এবং লস্কর-ই-জংভি-র জঙ্গিরা। তাই আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে তালিবরা ভারতেও জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়ানোর চেষ্টা করবে, এই সংশয় থেকেই যাচ্ছে। তবে চিফ অব ডিফেন্ট স্টাফ বলেছেন, সবরকম পরিস্থিতির মোকাবিলাতেই জন্যই প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। কোনওরকম সন্ত্রাসের চেষ্টা করলে তার যোগ্য জবাব দিতেও তৈরি ভারত।