‘দেশে এখনও প্রচুর টিকা নষ্ট হচ্ছে’, রিভিউ বৈঠকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ভ্যাকসিনের জোগান কম, তার ওপরে প্রচুর পরিমাণে কোভিড টিকা নষ্ট হচ্ছে, রিভিউ বৈঠকে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বিতরণের হালহকিকত জানতে শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি নির্দেশ দেন ভ্যাকসিনের অপচয় বন্ধ করতে হবে। সে জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে রাজ্যগুলিকে।

জুলাই মাস থেকে থেকে ভ্যাকসিনের উৎপাদন আরও বাড়বে বলে আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সকলকে কোভিড টিকার দুটি করে ডোজ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। সে জন্য টিকাকরণে গতি আনাই এখন লক্ষ্য। টিকাকরণ কর্মসূচী নিয়ে তাই শুক্রবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গয়াল এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মোদী। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, টিকার উৎপাদন আরও বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট রুটম্যাপ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে এখন কী পরিমাণ টিকা মজুত আছে, কতজনকে ডোজ দেওয়া যাবে ইত্যাদি বিষয়েও খোঁজখবর নেন তিনি।

সেই সঙ্গে কোভিড ভ্যাকসিনের অপচয় বন্ধ করার দিকে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত দুমাস আগেই আরটিআই দফতর জানিয়েছিল, দেশের বেশ কিছু রাজ্যে করোনা টিকার বিপুল পরিমাণ ডোজ নষ্ট হয়েছে। যার একটা বড় অংশ নষ্ট করার জন্য দায়ী দেশের পাঁচটি রাজ্য— তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, পঞ্জাব, মণিপুর এবং তেলঙ্গানা। করোনা টিকার ৪৪ লক্ষের বেশি ডোজ নষ্ট হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছিল। দেশে টিকাকরণে গতি আনতে হলে ভ্যাকসিনের অপচয় আগে বন্ধ করতে হবে, সেটা বৈঠকে বার বার করে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

একুশ সাল শেষ হওয়ার আগেই গোটা দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলা হবে বলে গত শুক্রবারই ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। দেশে জুলাই মাসের মধ্যে টিকার উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করা হবে বলে সুপ্রিম কোর্টেও হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশে টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির আর্থিক বরাদ্দ বাড়িয়েছে সরকার। ফলে জুলাই মাস থেকেই উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সরকারি তরফে জানানো হয়, দেশে এখন প্রতি মাসে সাড়ে আট কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি হয়, দিনের হিসেবে যা ২৮ লাখের মতো। জুলাই মাস থেকে যা আরও বাড়বে। তখন দিনে প্রতিদিনে এক কোটি করে টিকার ডোজ দেওয়া যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.