গণতন্ত্র কখনওই বিশৃঙ্খলা চায় না। হিংসাও কাম্য নয়। ক্ষমতার হস্তান্তর হওয়া উচিত শান্তিপূর্ণভাবেই। ওয়াশিংটনে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার প্রসঙ্গে টুইট করে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
টুইট করে মোদী বলেছেন, “ওয়াশিংটন ডিসিতে এমন দাঙ্গা, হিংসার পরিস্থিতি দেখে দুঃখিত। ক্ষমতার হস্তান্তর শৃঙ্খলা মেনে, শান্তিপূর্ণভাবেই হওয়া উচিত। গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা কখনওই বেআইনি বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে হতে পারে না।”
প্রেসিডেন্টের গদিতে আর কিছুদিন মাত্র সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের। মার্কিন হাউস অব রিপ্রেসেন্টেটিভ এবং সেনেটের বৈঠকে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনকে জয়ের শংসাপত্র দেওয়ার কথাও ঠিক হয়ে গেছে। প্রেসিডেন্টের গদিদে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে বসতে চলেছেন বাইডেনই। ৩০৬টি ইলেক্টোরাল ভোট পাওয়ার পরে জয়ের শংসাপত্র এখন নিয়মরক্ষার অংশমাত্র। ক্ষমতার হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে।
শুরু থেকেই বাইডেনের জয় ভাল মনে নেননি ট্রাম্প। শোনা গিয়েছে, ভোট দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পাশা উল্টে দেওয়ার জন্য নাকি ক্রমাগত বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন ট্রাম্প। টুইট করে ট্রাম্প এও বলেছেন, ভোট জালিয়াতিতে প্রেসিডেন্ট পদে বসছেন বাইডেন। ব্যালটে কারচুপি করেছেন যে ইলেক্টররা, তাঁদের বাতিল করে ফের ভোট সংশোধন করুক ভাইস প্রেসিডেন্ট। তবে ট্রাম্পের কথায় গুরুত্ব দেননি পেন্স। নিয়ম মেনে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার হস্তান্তরে যোগ দিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারটাও ভাল চোখে দেখেননি ট্রাম্প। তাই এবার ট্রাম্পের সমর্থকদের সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে ওয়াশিংটন ডিসি। নজিরবিহীন হামলা চলেছে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে। গুলিতে হত এক বিক্ষোভকারী। জখম আরও এক। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে বিক্ষোভকারীদের। ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হিংসায় ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়ের। গণতন্ত্রের অবমাননা হচ্ছে বলে সরব হয়েছে একাধিক রাষ্ট্রনেতা।